আজিজুর রহমান দুলালঃ শাশুড়ির মৃত্যুর খবর পেয়ে ঢাকা থেকে স্ত্রী আদরী বেগম (৪০), দুই বছরের ছেলে ইয়ামিনকে সাথে নিয়ে রওনা দিয়েছিল শাশুড়িকে এক নজর দখার জন্য কিন্তু বাড়িতে পৌঁছনোর আগেই চলে গেলেন পরপারে।
৩রা মে (সোমবার) ভোরে তাড়াতাড়ি শশুর বাড়িতে আসার জন্য মাদারীপুরের শিবচরে স্পিডবোটে ওঠেন।নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়,ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার টগরবন্দ ইউনিয়নের চরডাঙ্গা গ্রামের উদ্দেশ্যে। শ্বাশুড়ির মৃত্যু খবর পেয়ে তার জানাযায় অংশ নিতে ঢাকা থেকে স্ত্রী আদরী বেগম (৪০), দুই বছরের ছেলে ইয়ামিনকে সাথে নিয়ে রওনা দিয়েছিল সে। কিন্তু বাড়ি পৌঁছনোর আগেই চলে গেলেন পরপারে। ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান তার স্ত্রী আদরী বেগম। আদরী বেগম স্বামী সন্তানের লাশ নিয়ে বিকেলে ফিরেন আলফাডাঙ্গার চরডাঙ্গা পিতার বাড়িতে।
আরজু সরদারের গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের পঁচা মাগুরার পান্নু সরদারের ছেলে আরজু সরদার (৫০)
সোমবার আদুরী বেগমের মায়ের নামাজে জানাযার শেষে বিকালে বাপ-বেটার লাশ লাস নিয়ে বোয়ালমারী উপজেলার পচা মাগুরায় আরজুর নিজ বাড়িতে রওনা দেন। লাস বাড়িতে পৌছানোর পর
আসেপাশের শোকের ছায়া নেমে আসে।
স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হয়ে ওঠেছে আসেপাশের এলাকা। ইউপি সদস্য হানিফ শেখ বলেন,আরজু ছোটখাটো ব্যবসা করতো ঢাকাতে।শ্বাশুড়ির মৃত্যু সংবাদ পেয়ে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে শ্বশুর বাড়ি আসিতে ছিল।
সোমবার রাতে শেখর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইস্রাফিল মোল্যা জানান,সত্যিই এটি একটি হৃদয় বিদারক ঘটনা।এখন এ সংসারে তার দ্বিতীয় স্ত্রী আদুরী ছাড়া আর কেউ রইলো না। আরজু সরদার ও ছেলে ইয়ামিনের লাশ বাড়িতে আনা হয়েছে। রাত ১০টায় জানাযা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।