মো রাসেল ইসলাম, যশোর জেলা প্রতিনিধি: যশোরের শার্শায় ৯ কেজি ৭৫৮ গ্রাম ওজনের ৩০টি সোনার বারসহ দুইজন ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় সোনা পাচারের কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার ও ৩টি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। এই অভিযানকালে পাচাকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এতে অজ্ঞাত ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নাভারন-সাতক্ষীরা মহাসড়কের জামতলার পাঁচপুকুর নামক এলাকার ওরিয়েনটাল ওয়েল কোম্পানি লিটেডের সামনে গতকাল বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আটককৃতরা হলেন— রবিন (৩৫) পিতা আবুল সরকার ও আবুল কাশেম (৩৫) পিতা কবির হোসেন। তাদের দু’জন কুমিল্লা জেলার হোমনা ও দাউদকানদি উপজেলার সাজাদিয়া এলাকার বাসিন্দা।
সোনার বার উদ্ধারের সময় পুলিশ ও পাচারকারীদের মধ্যে হামলার ঘটনা ঘটে। ওই সময় ২৫-৩০টি মোটরসাইকেল যোগে প্রায় ৫০-৬০ জন যুবক পুলিশের ওপর বোমা হামলা করে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও গুলি এবং রাবার বুলেট ছুড়ে। হামলাকারীদের ফেলে যাওয়া ৩টি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। এ সময় অজ্ঞাত এক ব্যক্তি নিহত হয়। তার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন নাভারন সার্কেলের এএসপি জুয়েল ইমরান। নিহত ব্যক্তির নাম অলি আর (৪০)। তিনি বেনাপলের পুটখালী এলাকার বাসিন্দা। অলি ওই এলাকার দাউদ হোসেন খয়ারের জামাই।
এ বিষয়ে নাভারণ সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. জুয়েল ইমরান বলেন, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নাভারন সাতক্ষীরা সড়কের জামতলা এলাকার পাঁচপুকুর নামক স্থানে অভিযান চালায় যশোর ডিবি ও শার্শা থানার পুলিশ। কৌশলে ছদ্মবেশে দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত দিয়ে সোনাপাচার করে আসছে এই চক্রটি। সীমান্ত পথে ভারতে সোনা পাচারকালে তাদের আটক করা হয়। এ সময় রবিনের শরীরে ও গাড়ির মধ্যে কৌশলে লুকিয়ে রাখা অবস্থায় ৯ কেজি ৭৫৮ গ্রাম ওজনের ৩০ পিস সোনারবার পাওয়া যায়। যার মূল্য আনুমানিক সাড়ে ৭ কোটি টাকা।
তিনি আরও জানান, সোনা পাচার রোধে সীমান্ত এলাকায় সোনা চোরাচালানের গডফাদারদের চিহ্নিত করে আইনের আওতাই আনা হবে। এ ধরনের অভিযান আরও বৃদ্ধি করা হবে।