মোঃ রাসেল ইসলাম,যশোর জেলা প্রতিনিধি:
যশোরের শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটি নিজেই স্বাস্থ্য ঝুকির মধ্যে। পর্যাপ্ত জনবলের অভাবে রোগীরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। গোটা হাসপাতাল জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ময়লা আর্বজনা। র্দূগন্ধে রোগীরা টিকতে পারছে না হাসপাতালে।হাসপাতালে “নো মাস্ক,নো এন্ট্রি” লেখা থাকলেও ডাক্তাররা মাস্ক বাদে রোগীদের সেবা দিচ্ছে। হাসপাতালের এক মাত্র এ্যাম্বুলেন্সটি বছরের পর বছর পড়ে থাকে অচল হয়ে।
যশোরের শার্শা উপজেলার এক মাত্র সরকারি হাসপাতালটি নিজেই স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে। ময়লা আর্বজনা ও র্দূগন্ধে হাসপাতালে টিকতে পারছে না সেবা নিতে আসা রোগীরা। হাসপাতালটির যেখানে সেখানে পড়ে আছে রোগীর ব্যবহারিত গজ ব্যান্ডেজ সহ অন্যান্য উপকরণ। জনবল সংকটে ব্যাহত হচ্ছে যথাযথ পরিসেবা। হাসপাতালে কর্মরত কর্মচারী এবং রোগীদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা না থাকার কারণে করোনা ঝুঁকির মধ্যে মাস্ক বিহীন অবস্থায় চলছে সকল কার্যক্রম। হাসপাতালটিতে জুনিয়ার কনসালটেন্টর ১০টি পদের মধ্যে সব কয়টি শূন্য। মেডিকেল অফিসারের ১০টির মধ্যে আছে মাত্র ৩টি। ফলে সকাল ৯টায় আসা রোগী দুপুর পর্যন্ত পাচ্ছে না কোন সেবা। ১০ বছর ধরে এক মাত্র এ্যাম্বুলেন্স তাও সেটি চলার পথে মুখ থুবড়ে পড়ে। এতে প্রতিনিয়ত রোগীদের কে পড়তে হয় বিপাকে।
সেবা নিতে আসার রবিউল ইসলাম বলেন, এই হাসপাতালে এত পরিমান নোংরা যে সুস্থ মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে।যেখানে সেখানে ময়লা আর্বজনা ফেলে রাখছে এবং সেখানেই রোগীর চিকিৎসা দিচ্ছে ডাক্তারা। এই হাসপাতালে আমরা রোগী এনে অসুস্থ হয়ে পড়ছি।
শার্শা উপজেলায় একটি হাসপাতাল কিন্তু অসুস্থ রোগী এবং আমরা যারা রোগীর সাথে আসি র্দূগন্ধের ঠেলায় আমরাও অসুস্থ হয়ে পড়ি।আর রোগী সুস্থ হওয়া যেমন তেমন অসুস্থ হয়ে পড়ে বেশি।আমরা চাই একটু হাসপাতালটি সুন্দর হোক।
শার্শা উপজেলায় অসুস্থ মাকে নিয়ে আসা টুমপা খাতুন বলেন, সকাল ৯টার সময় রোগী নিয়ে হাসপাতালে এসেছি। সাড়ে ১২ বাজতে গেছে এখনও আমার রোগী দেখলো না।সেবা নিতে এসে আমরা সেবা পাচ্ছি না।
এ্যাম্বুলেন্স চালক:মোঃ সাদেক হোসেন বলেন, এই হাসপাতালে একটা গাড়ী একটা ড্রাইভার।এই এ্যাম্বুলেন্সটা প্রায় ১২ বছর এখানে চলছে। গাড়ীটার অবস্থা খুবই খারাপ। একটা মুমূর্ষ রোগী নিয়ে দ্রুত হাসপাতালে পৌছানো যায় না।এই হাসপাতালে যদি নতুন একটা এ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা হলে এই অত্র এলাকার মানুষ জরুরী সার্ভিস পাবে। এখন থেকে রেফারকৃত রোগী যশোর সদর সহ বিভিন্ন জায়গায় গেলে তারা সহযোগীতা পাবে।
শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্ব শীল কর্মকর্তা ডা. ইউসুফ আলী জানান, দীর্ঘদিন ধরে চতুর্থ শ্রেনীর কর্মী নিয়োগ বন্ধ আছে। এই মুহুত্বে চতুর্থ শ্রেনীর কর্মী প্রয়োজন। হাসপাতালে নোংরা তার কারণ চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী কম থাকায়।এই হাসপাতালে জুনিয়ার কনসালটেন্ট ও মেডিকেল অফিসার থাকলে আরও বেশি সেবা প্রদান করা যেত। সকল অফিসার এই হাসপাতালে থাকলে জনগণ সকল সেবা পাবে। আমাদের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে সব বিষয়ে বলা হয়েছে। আসা করা যায় আমরা সকল চিকিৎসক পাব।