বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য সম্ভাবনাময় এগারোটি খাতের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করেছেন, বিশ্বে এ দেশের পণ্যের নতুন বাজার সৃষ্টি হবে এবং বিনিয়োগ আকর্ষণ করবে।
রোববার সকালে ঢাকায় আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। সম্মেলনে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান ও ভারতসহ পনেরটি দেশের প্রায় আড়াই হাজার প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন। উদ্বোধনীতে গণভবন থেকে অনলাইনে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এসময় প্রধানমন্ত্রী জানান, বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টিতে অবকাঠামোগত সব ধরনের নীতিগত সহযোগিতা দিতে সরকার প্রস্তুত।
‘শুধু দক্ষিণ এশিয়ায়ই নয়, বিশ্বের জন্য উদীয়মান শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে বাংলাদেশ। যেখানে বড় বড় দেশ কোভিডপরবর্তী সময়ে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে, সেখানে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। সরকারি-বেসরকারি একশটি অর্থনৈতিক অঞ্চল, বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশের উন্নয়ন- সব দিক থেকে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে কাজ করছে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, দক্ষ জনসম্পদ গড়ে তোলা এবং ভৌগলিক অবস্থানের কারণে গত এক দশকে দেশের গুরুত্ব বেড়েছে।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, জাতির পিতা দীর্ঘ সোয়া দু’শো বছরের পরাধীনতার শৃঙ্খল ছিন্ন করে বাঙালি জাতিকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে এনেছেন। তিনি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার সময় একটা মালবাহী জাহাজও ছিল না, সকল যোগাযোগ অবকাঠামো ছিল ধ্বংস্তুপ, বৈদেশিক মুদ্রা ও গোল্ড রিজার্ভ ছিল না। শূন্য হাতেই ‘সোনার বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠায় সংগ্রামে নেমেছিলেন। তিনি সকল কল-কারখানা জাতীয়করণ করে জনগণের মালিকানা প্রতিষ্ঠা করেছেন। বাংলাদেশকে বহির্বিশ্বের সঙ্গে যুক্ত করে বিনিয়োগ-বাণিজ্যের সুযোগ সৃষ্টি করেছেন।
‘মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য প্রাকৃতিক গ্যাস আহরণ করে সার কারখানা স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তার লক্ষ্য ছিল কৃষক অল্পদামে সার পাবে, বেশি ফসল উৎপাদন করবে, খাদ্য নিরাপত্তা অর্জিত হবে, উদ্বৃত্ত খাদ্য ও সার বিদেশেও রফতানি করা যাবে। তার উন্নয়ন দর্শনের মূলেই ছিল দেশীয় সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার এবং মানব সম্পদের উন্নয়ন। যদি বাংলাদেশের সম্পদ আমরা ব্যবহার করতে পারি, তাহলে বাংলাদেশ যে সোনার বাংলাদেশ হবে, সে বিষয়ে আমার কোন সন্দেহ নাই।’
অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলনকে সামনে রেখে আন্তর্জাতিক প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।