এ বছর লিবীয় হজযাত্রীদের পুরো খরচ বহন করবে দেশটির সরকার।
এ জন্য দেশটির সরকার ২০ কোটি দিনার বা ৪ কোটি ১৫ লাখ ২০ হাজার ৮০০ মার্কিন ডলার বরাদ্দ রেখেছে। খবর আরব নিউজের।
২০১৯ সালে বিশ্বের ২৫ লাখ মুসলিম হজ পালনের সুযোগ পেলেও পরবর্তী দুই বছর করোনার বিধিনিষেধের কারণে কেবল সৌদির কিছু মুসল্লি হজ পালন করতে পেরেছেন।
এর মধ্যে ২০২০ সালে মাত্র এক হাজার মুসল্লি এবং ২০২১ সালে করোনার প্রকোপ কিছুটা কমে আসায় সৌদিতে অবস্থানকারী বিদেশিসহ ৬০ হাজার মুসল্লি পবিত্র হজ পালনের সুযোগ পেয়েছিলেন।
তবে এ বছর করোনার টিকা নেওয়া আছে এমন মুসল্লিরা যে কোনো দেশ থেকেই সৌদি আরবে এসে হজ পালনের সুযোগ পাচ্ছেন।
এ বছরের এপ্রিল থেকে সৌদি আরবে করোনার বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়েছে। করোনার প্রকোপ কমে যাওয়া এ বছর সৌদি আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১০ লাখ মুসল্লি পবিত্র হজ পালনের সুযোগ পাচ্ছেন।
আগামী ৭ জুলাই থেকে সৌদি আরবে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে।
এ বছর বিশ্বের সব দেশেই বেড়েছে পবিত্র হজের ব্যয়। আরব দেশগুলোও এ বাড়তি খরচের বাইরে নয়।
জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ায় এবং সৌদি আরব হজযাত্রীদের কর ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করায় এ বছর হজের খরচ বেড়েছে।
অন্য বছরগুলোর তুলনায় এ বছর আরব দেশগুলোর মধ্যে হজে সবচেয়ে বেশি ব্যয় হচ্ছে কাতারের নাগরিকদের। এ বছর তাদের জনপ্রতি হজে খরচ ধরা হয়েছে ১০ হাজার ৯৭১ ডলার। এর পরই আছে আমিরাত (১০৮২১ ডলার) এবং তিউনিসিয়া (৯৮৮৪ ডলার)।
অন্যদিকে আরব দেশগুলোর মধ্যে এ বছর সবচেয়ে কম খরচে হজ পালনের সুযোগ পাচ্ছেন ওমানের নাগরিকরা। তাদের খরচ পড়ছে এক হাজার ৭৯৭ ডলার। এর পরই আছে জর্ডান (২৯৬১ ডলার) ও সৌদি আরব (৩১৯৮)।
এ বছর আরব অন্য দেশগুলোর খরব যথাক্রমে, লেবানন (৯০০০ ডলার), কুয়েত (৭৫৭৮ ডলার), বাহরাইন (৭৫৫৯ ডলার), মিস (৬৯১০ ডলার), ফিলিস্তিন (৬২৩৪ ডলার), আলজেরিয়া (৫৮৫৩ ডলার), সুদান (৫৪৪৭), ইরাক (৩৮২৫), সিরিয়া (৩৭০০) ও ইয়েমেন (৩৪১৬ ডলার)।