রিয়াজের ‘হাউমাউ’ করে কান্নার ভিডিও নিয়ে ট্রল
শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে বেশ সরগরম এফডিসি। চলতি মাসের ২৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) শিল্পী সমিতির নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।
সম্প্রতি নির্বাচনের আমেজে উত্তপ্ত এফডিসি প্রাঙ্গণের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
ভিডিওতে দেখা যায়, শিল্পী সমিতির ভোটাধিকার হারানো ১৮৪ জন শিল্পীর মধ্যে কিছু শিল্পীর দেখা হয় চিত্রনায়ক রিয়াজের সাথে। এসময় তাদের রিয়াজকে কেন্দ্র করে কাঁদতে দেখা যায়।
এসময় চিত্রনায়ক রিয়াজ কান্নারত গলায় বলেন, আমার খুব বেশি কিছু চাওয়ার নেই, শুধু সম্মানটুকু ফিরিয়ে দেওয়ার অঙ্গীকার করেছি। আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন যেন এই মানুষগুলোর সম্মান আমরা কার্যনির্বাহী পরিষদ থেকে দিতে পারি।
এই বক্তব্যের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে উপস্থিত শিল্পীরা আহাজারি করেন। ভিডিওতে আরও দেখা যায়, শিল্পীদের পক্ষ থেকে আল্লাহর কাছে তাদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া অনাচার নিয়ে ‘বিচার’ দেওয়া হয়। এসময় ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেলকে সমর্থন দিয়ে তাদের সাফল্যও কামনা করা হয়।
তবে ভিডিওটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। অনেকেই এফডিসিতে ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি নিয়ে হাস্যরস করছেন।
তমিস্রা তিথি নামের এক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী লিখেন, ‘এরা কানতেসে নাকি কান্নার অভিনয় করতেসে।’ ওলি আহাম্মেদ নামের আরেকজন লিখেন, ভিডিওটি দর্শনপরবর্তী প্রতিক্রিয়া কি হওয়া উচিত- কিছু বুঝে উঠতে না পারা আমার নিউরন!
টিকটকে ভিডিওটি শেয়ার করে উপরে শহিদুল আলম নামের একজন লিখেন, ‘এরা কারা?’ আহমেদ আলী নামে আরেকজন বলেন, রিয়াজের এমন ‘হাউমাউ’ করে কান্নার ভিডিওটি ঠিক মেলাতে পারলাম না। তার পেছনে সকলের অভিব্যক্তির সঙ্গে রিয়াজের কান্না নিতান্তই বেমানান মনে হলে।
উল্লেখ্য, এই ১৮৪ জন এর আগেরবারের নির্বাচনে ভোট দিতে পারেননি। তারা বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদস্য হয়েও বর্তমান কমিটির আপত্তির মুখে ভোটাধিকার হারান।
তারপর থেকেই চলছিল আইনি লড়াই। ১৮৪ জনের পক্ষে ১৮ জন আদালতে মামলা করেছিলেন। পরে চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) তাদের ভোটাধিকার ফেরত দেওয়ার আদেশ দেন আদালত।