গত ১৮ মাসে এই প্রথমবার সৌদি আরব তার সীমান্ত খুলে দিচ্ছে আগামি রবিবার থেকে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধের জন্য এই মহমারি শুরুর সময় থেকেই সেখানে কঠোর বিদিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। ঐতিহাসিক ভাবেই বিচ্ছিন্ন এই রাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র, ঠিক মহামারি শুরুর আগে ২০১৯ সালের শেষের দিকে পর্যটকদের জন্য ইলেক্ট্রনিক ভিসা পদ্ধতি চালু করে।
তেল সম্পদের বাইরে রাজস্ব আয় বাড়াতে এবং আরও চাকরির সুযোগ তৈরির জন্য প্রকৃতি প্রেমিক ও উত্সাহী ভ্রমণকারিদের ব্যতিক্রমি পর্যটন স্থল হিসেবে সৌদি আরব নিজেকে তুলে ধরতে চাইছে। ৪৯ টি রাষ্ট্র, যাদের অধিকাংশই ইউরোপীয় দেশ এবং অন্যান্যদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের নাগরিকদের নতুন নিয়মে কোন রকম কোয়ারান্টিন ছাড়াই সে দেশে প্রবেশ করতে পারবেন। তবে তাদেরকে ভ্রমণের আগেই পিসিআর পরীক্ষায় নেগেটিভ হতে হবে এবং প্রমাণ করতে হবে যে তারা অক্সফোর্ড/অ্যা্স্ট্রা জেনেকা, ফাইজার/বাইও এন টেক কিংবা মডার্না টিকার দুটি ডোজই নিয়েছেন অথবা জনসন এন্ড জনসনের তৈরি এক ডোজ টিকা নিয়েছেন।
যে সব পর্যটক চীনের সাইনোফার্ম বা সাইনোভ্যক টিকা নিয়েছেন তাদের প্রমাণ করতে হবে যে তারা তৃতীয় ডোজও নিয়েছেন।
এ বছরের গোড়ার দিকে সৌদি আরব তার নাগরিকদের সতর্ক করে দিয়েছিল যে তারা কেউ যদি লাল তালিকাভুক্ত সর্বাধিক বিপজ্জনক রাষ্ট্র যেমন প্রতিবেশি দেশ ভ্রমণ করে তা হলে পরবর্তী সময়ে তাদেরকে তিন বছরের জন্য ভ্রমণে নিষিদ্ধ করা হবে।