করোনা ভাইরাসের জন্য অতি ঝুকি ঝুঁকিপুর্ণ বিবেচিত দেশগুলো ছাড়া বিশেষ শর্তসাপেক্ষে আন্তর্জাতিক কমার্সিয়াল ফ্লাইট পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ ১ মে থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। করোনা সংক্রমণের হার বিবেচনায় ৩৮ টি দেশে গমনাগমনের উপর বিশেষ শর্ত আরোপ করে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) আন্তর্জাতিক ফ্লাইট সমূহ চালুর জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
গ্রুপ-এ
এই গ্রুপে আছে ১২টি দেশ। আরর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, কলম্বিয়া, কোস্টারিকা, সাইপ্রাস,জর্জিয়া, ভারত, ইরান, মোঙ্গলিয়া, ওমান, সাউথ আফ্রিকা, তিউনিসিয়া। এই ১২টি দেশ থেকে কোন যাত্রী বাংলাদেশে যেতে পারবে না, বাংলাদেশ থেকেও ওই দেশগুলোতে যাওয়া যাবে না। তবে সেখানে ১৫দিনের মধ্যে ভ্রমণ করেছেন কিন্তু বাস করছেন না এমন বাংলাদেশি নাগরিক বিশেষ অনুমতি সাপেক্ষে দেশে আসতে পারবেন। দেশে আসলে তাদের বাধ্যতামূলক ভাবে ১৪ দিস সরকার নির্ধারিত হোটেলে নিজ খরচে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। দেশে আসার পূর্বেই তাদের হোটেল বুকিং করতে হবে।
গ্রুপ-বি
গ্রুপ-বি’তে রয়েছে ২৬টি দেশ। এগুলো হচ্ছে- অস্ট্রিয়া, আজারবাইজান, বাহরাইন, বেলজিয়াম, চিলি, ক্রোয়েশিয়া, এস্তোনিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রিস, হাঙ্গেরি, ইরাক, কুয়েত, ইতালি, লাটভিয়া, লিথুনিয়া, নেদারল্যান্ড, প্যারাগুয়ে, পেরু, কাতার, স্লোভেনিয়া, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, তুরস্ক ও উরুগুয়ে।
এ ২৬টি দেশ থেকে বাংলাদেশ যাত্রী আসতে পারেব। একই সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া যাবে। এসব দেশ থেকে বাংলাদেশে আসলে বাধ্যতামূলকভাবে ১৪ দিন সরকার নির্ধারিত হোটেলে নিজ খরচে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। দেশে আসার পূর্বেই তাদের হোটেল বুকিং করতে হবে।
তবে এ তালিকায় থাকা মধ্যপ্রাচ্যের ৩টি দেশ (কাতার, বাহরাইন ও কুয়েত) ঝুকিপূর্ণ দেশের তালিকায় থাকা সত্ত্বেও এই ৩ দেশ থেকে আসা যাত্রীরা ১৪ দিনের বদলে ৩ দিনের বাধ্যতামূলক প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন। তারা এই ৩ দিন সরকার নির্ধারিত হোটেলে নিজ খরচে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন। দেশে আসার পূর্বেই তাদের হোটেল বুকিং করতে হবে। তিনদিন পর তাদের করোনা টেস্ট করানো হবে। রিপোর্ট নেগেটিভ আসলেও তাদের ১১ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
গ্রুপ-সি
গ্রুপ-এ’তে থাকা টি এবং ‘গ্রুপ-বি’তে থাকা ২৬টি অর্থ্যাৎ মোট ৩৮টি দেশ ছাড়া বিশ্বের অন্য সব দেশে এই সি গ্রুপের আওতায় পড়বে।
এসব দেশ থেকে বাংলাদেশে আসলে বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকাতে হবে।