যুক্তরাষ্ট্রে বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনের মধেই লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্যে এক কৃষ্ণাঙ্গকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তিকে হত্যা করার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। কর্তৃপক্ষ বলছে, ওই ব্যক্তি ছুরি হাতে একটি স্টোরে ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন। পরে পুলিশ তাকে গুলি করে। এ খবর জানিয়েছে কাতার ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা।
মানবাধিকারকর্মীরা ওই ভিডিও দেখার পর পুলিশের বিচার চেয়েছেন। তারা বলছেন, জর্জ ফ্লয়েডের মতো এবারও ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
পুলিশ বিবৃতিতে বলেছে, ‘শুক্রবার রাত ৮টার দিকে জরুরি নম্বরে ফোনে সাহায্য চাওয়া হয়। দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ছুরি হাতে এক ব্যক্তিকে দেখা যায়। ওই ব্যক্তি সেখান থেকে পালিয়ে অন্য একটি দোকানে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশ গুলি চালায়।’
২০২০ সালের ২৫ মে মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের বৃহত্তম শহর মিনিয়াপলিসে পুলিশি হেফাজতে হত্যার শিকার হন জর্জ ফ্লয়েড নামের এক কৃষ্ণাঙ্গ। একজন প্রত্যক্ষদর্শীর ধারণ করা ১০ মিনিটের ভিডিওতে দেখা গেছে, হাঁটু দিয়ে নিরস্ত্র ফ্লয়েডের গলা চেপে ধরে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে ডেরেক চাওভিন নামের এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ সদস্য।
এই হত্যার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে, এমনকি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বড় ধরনের বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সে ঘটনার রেশ না কাটতেই এবার লুইজিয়ানায় পুলিশের গুলিতে আবারও কৃষ্ণাঙ্গ নিহত হয়েছেন।
পুলিশ বলছে, আহত অবস্থায় পার্শ্ববর্তী হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার কাছ থেকে ছুরিটি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় কোনও পুলিশ কর্মকর্তা হতাহত হননি।নিহত ব্যক্তির নাম ট্রেফোর্ড পেলারিন (৩১)।
তবে পুলিশের সঙ্গে এ গোলাগুলির দৃশ্যটি একটি ভিডিওতে ধারণ করা হয়েছে।পরে তা মুহূর্তে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে।
আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন এ ঘটনার প্রতিবাদ করে বলেছে, ‘আবার একটি ভয়ংকর ফুটেজ সামনে এলো। সবার চোখের সামনে ফের মেরে ফেলা হলো আরেক কৃষ্ণাঙ্গকে। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত চাই।’