মো. রাসেল ইসলাম,যশোর জেলা প্রতিনিধি : যশোরের ঝিকরগাছায় এক রাতে পৃথক স্থানে তিনটি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। ৩০ তারিখ রবিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। ঝিকরগাছা থানা পুলিশ ঘটনাস্থাল পরিদর্শন করেন এবং তিনটি মরদেহ থানাতে নিয়ে আসেন।
তিনটি মরদেহের মধ্যে মর্গে দুইটি আর বাড়িতে একটি পাঠানো হয়েছে। তিনটি আত্মহত্যার ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে । সোমবার (৩১ মে) দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্য জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
থানায় অপমৃত্যু মামলা সম্পর্কে জানা গেছে, রবিবার (৩০ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার সময় মিশ্রিদেয়াড়া গ্রামের সালাউদ্দিনের স্ত্রী হালিমা খাতুন (৩০) গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করছে বলে অভিযোগ ওঠে।
এঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মমলা হয়েছে। মামলা নং ১৯, তারিখ- ৩০/০৫/২০২১ইং।
অন্যদিকে রাত ৮টা ১৫ মিনিটের সময় দোসতিনা গ্রামের জালাল’র ছেলে তাছিরুল (১৭) গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করছে বলে অভিযোগ ওঠে। এঘটনায়ও থানায় অপমৃত্যু মমলা হয়েছে। মামলা নং ২০, তারিখ- ৩০/০৫/২০২১ইং।
একই রাতে ১২টা ১০মিনিটের সময় লাউজানী গ্রামের আব্দুর রফিকের স্ত্রী শিউলী (২০) গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করছে বলে অভিযোগ ওঠে। এঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মমলা হয়েছে। মামলা নং ২১, তারিখ- ৩১/০৫/২০২১ইং।
থানায় তিনটি আত্মহত্যার বিষয়ে মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই (নিঃ) সৈয়দ মোঃ আবু সুফিয়ান জানান, মহিলা ২টির লাশের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্য জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তাছিরুলের লাশ বাড়ি পাঠানোর বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাপে মোবাইল কিনে না দেওয়ায় অভিমান করে গালায় ফাঁস দিয়েছে। ওদের কোন অভিযোগ নাই। বাবা ছেলের সঙ্গে ঝামেলা। এজন্য লাশ পরিবারের মাঝে তুলে দেওয়া হয়েছে।