মোঃ রাসেল ইসলাম,যশোর জেলা প্রতিনিধি: যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফারজানা নাসরিন ন্যায়বিচার পেতে যশোরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।তার স্বামী মো. মাসুদ রানা একজন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হওয়ায় তিনি বিচারকাজে পক্ষপাত হতে পারে বলে সংবাদ সম্মেলনে আশংকা প্রকাশ করেছেন।
ফারজানা নাসরিন লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করে বলেন, চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদ রানার সঙ্গে তার বিয়ে হয়। সংসার চলাকালে তার স্বামী ঢাকায় প্লট কেনার জন্যে দশ লাখ টাকা দাবি করেন। এ নিয়ে তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন। এক পর্যায়ে মো. মাসুদ রানাকে পাঁচ লাখ টাকা দেন তার বাবা। কিছুদিন চুপ থাকলেও আরো পাঁচ লাখ টাকার জন্যে তিনি ফের শারীরিকভাবে নির্যাতন শুরু করেন। উপায়ন্তর না পেয়ে তিনি যশোরে তার বাবার বাড়ি ফিরে আসেন এবং গত ১৪ সেপ্টেম্বর যশোরের আমলী আদালতে (সদর) যৌতুক আইনে মামলা (সিআর-১১৪৯/২০২০, ১৪.০৯.২০২০) করেন।
তিনি বলেন, ‘মামলার পর গত ১৮ সেপ্টেম্বর মাসুদ রানা, তার বোন রানী ও বোনাই জিয়াউর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে আসেন আপসের কথা বলে। কিন্তু তারা এসে ফের আমাকে যৌতুকের দাবিতে মারধর করেন। পরবর্তীতে আমি যশোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি পিটিশন (নম্বর-৪৫/২২.০৯.২০২০) দাখিল করি।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ যশোরের ৪৫/২০২০ নম্বর পিটিশন মামলার বিচার বিভাগীয় অনুসন্ধানে মাসুদ রানার বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে। কিন্তু বিচারক ১১ নভেম্বর তারিখে আদেশ প্রদান না করে বাদীকে (ফারজানা নাসরিন) ব্যক্তিগত আক্রমণ এবং কারণ দর্শানোর নোটিস দেন।
তিনি আশঙ্কা করেন, মাসুদ রানা জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হওয়ায় সুবিচার প্রক্রিয়া নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় যাতে তিনি সুষ্ঠু বিচার যাতে পেতে পারেন, সেজন্য প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. ইকবাল কবির জাহিদ, সাধারণ সম্পাদক ড. মো. আমজাদ হোসাইনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। তারাও শিক্ষক ফারজানা নাসরিনের ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন।