প্রথম দুই ম্যাচের জন্য পাশাপাশি দুই উইকেট প্রস্তুত ছিল। দুটি উইকেটেরই চরিত্রই একই। ধীর গতির আর টার্নিং। তাতে এবার আগে ব্যাটিং নিয়েও বিস্তর ভোগান্তি হলো অস্ট্রেলিয়ার। এবারও তাদের ত্রাতা হয়ে চেষ্টা চালালেন মিচেল মার্শ। কিন্তু সহায়ক কন্ডিশনে মোস্তাফিজুর রহমান জ্বলে উঠায় অস্ট্রেলিয়া পেল না শক্ত পুঁজি।
বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১২১ রান করেছে অস্ট্রেলিয়া । দলের হয়ে ৪২ বলে সর্বোচ্চ ৪৫ করেন মিচেল মার্শ। বাংলাদেশের সেরা বোলার নিঃসন্দেহে মোস্তাফিজ । ৪ ওভার বল করে ২৩ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
আগের দিনের চেয়ে এদিন অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা কিছুটা ভাল। আগের ম্যাচে প্রথম বলেই বোল্ড হয়ে গিয়েছিলেন অ্যালেক্স ক্যারি। এদিন রিভার্স সুইপে দুই চারও পেয়ে গিয়েছিলেন শুরুতে। ক্যারি এবারও ‘ক্যারি’ করতে পারেননি। আগের মতই তার হন্তারক শেখ মেহেদী।
১১ রান করে মেহেদীকে উড়াতে গিয়ে মিড অনে ধরা পড়েন তিনি। আরেক ওপেনার জশ ফিলিপ এদিনও নিজেকে প্রমাণ করতে পারেননি। মোস্তাফিজুর রহমানকে এক চার মারার পর স্লোয়ারে বোকা বনে হয়েছেন বোল্ড।
এদিনও পাওয়ার প্লেটা কাজে লাগেনি অস্ট্রেলিয়া। ৩২ রান তুলতে হারায় ২ উইকেট। এরপরই মার্শের সঙ্গে জুটি গড়েন মোজেজ হেনরিকস। উইকেটের ভাষা বুঝে চলতে থাকে তাদের লড়াই। বাউন্ডারির দিকে না গিয়ে এক, দুই করে আগানোর পথ বাছেন তারা।
জুটিতে ৫০ আসে ৪৭ বলে। দেড়শোর ভিত পেয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। তবে অসময়েই উইকেট পড়ে তাদের। ১৫তম ওভারে এই জুটি ভাঙেন সাকিব আল হাসান। তার ফ্লাইটেড ডেলিভারিতে সুইপ করতে গিয়ে স্টাম্প খোয়ান হেনরিকস। তৃতীয় উইকেটে ৫২ বলে আসে ৫৭ রান।
আগের ম্যাচের মতো মার্শ অপরাজিত ছিলেন বলেই চিন্তাটা ছিল বাংলাদেশের। তবে সেই বিপদ আরও বড় হওয়ার আগে ছাঁটেন শরিফুল ইসলাম। তার বলে উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন মার্শ। আগের দিনের মতো আজও ঠিক ৪৫ আসে তার ব্যাটে। তফাৎ হলো এবার বল খেলছেন তিনটা কম। শরিফুল ওই ওভারে দেন মাত্র ৩ রান।
পরের ওভারে মোস্তাফিজ এসে বোল্ড করেন দেন অজি কাপ্তান ম্যাথু ওয়েডকে। চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পাওয়ার সম্ভাবনাও তখন তাদের হাওয়া। পরের বলেই দারুণ কাটারে বিদায় করেন অ্যাস্টন টার্নারকে। মোস্তাফিজের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পরের ওভারে অ্যাস্টন টার্নারকে ছাঁটেন শরিফুল।
শেষ দুই ওভারেও আরও কিছু রান যোগ করে কোনমতে ১২০ রান ছাড়াতে পারে তারা।
উইকেট মন্থর হলেও বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাট করে এই রান তাড়া করে জেতা খুবই সম্ভব বাংলাদেশের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
অস্ট্রেলিয়া: ২০ ওভারে ১২১/৭ (ফিলিপ ১০, ক্যারি ১১, মার্শ ৪৫, হেনরিকস ৩০ , ওয়েড ৪, টার্নার ৩ , অ্যাগার ০, স্টার্ক ১৩*, টাই ৯* ; শেখ মেহেদী ১/১২, নাসুম ০/২৯ , সাকিব ১/২২, মোস্তাফিজ ৩/২৩, শরিফুল ২/২৭, সৌম্য ০/৭ )