ভারতের মহারাষ্ট্রে একটি পাঁচতলা ভবন ধসে পড়ে একজন নিহত ও অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। সোমবার (২৪ আগস্ট) রাজ্যটির রায়গড় শহরে ধসে পড়া ভবনটিতে ৪৫টির বেশি ফ্লাট ছিল। ধ্বংসস্তুপের নিচে এখনও অন্তত ৭০ জন আটকা রয়েছেন বলে আশঙ্কা করছেন কর্মকর্তারা। ভারতের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বাহিনীর এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বিশেষায়িত সরঞ্জাম এবং প্রশিক্ষিত কুকুর নিয়ে দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে তিনটি দল। সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
মহারাষ্ট্রের রাজধানী মুম্বাই থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার দক্ষিণে মাহাদ জেলার রায়গড় শহরে ভবনটি ধসে পড়ে। সন্ধ্যার ছয়টার দিকে আকস্মিকভাবে তারিক গার্ডেন নামের ভবনটি ধসে পড়ে। দুর্ঘটনার ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ভবনটি ধসে পড়লে ওই এলাকায় বিশাল ধূলার মেঘ তৈরি হয়।
স্থানীয় জেলা কালেক্টর নিধি চৌধুরী জানান দশ বছরের পুরনো ভবনটির প্রথমে ওপরের তিন তলা ধসে পড়ে। তখন অল্প কয়েকজন মানুষ দৌড়ে বের হয়ে আসতে সক্ষম হয়। তিনি বলেন, আমরা ১৫ জনের মতো মানুষকে উদ্ধার করতে পেরেছি। আহতদের সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় আইনপ্রণেতা ও কংগ্রেস নেতা সুনিল তাতকারে জানিয়েছেন, অচিরেই দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে কমিটি গঠন করা হবে। তিনি বলেন, ‘মাহাদ ও রায়গড়ে ভারি বৃষ্টিপাত নতুন কিছু নয়, সেকারণে সেখানে ভবিষ্যতে ভবন অনুমোদনের সময় নকশা ও নির্মাণ কাজ তদারকি করা হবে। এই দুর্ঘটনায় কারও গাফিলতি পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে এই ভবন ধসের ঘটনাকে ইতোমধ্যে বিপর্যয় বলে আখ্যা দিয়েছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সম্ভাব্য সব ধরণের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত মাসে মুম্বাইতে ভারি বর্ষণে অপর একটি বহুতল ভবন ধসে অন্তত নয় জন নিহত ও বেশ কয়েক জন আহত হয়।