মোঃ রাসেল ইসলাম,যশোর জেলা প্রতিনিধি: ২০০৪ সালের ২১ শে আগষ্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার জনসমাবেশে ইতিহাসের বর্বরোচিত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সন্ত্রাসী কর্তৃক গ্রেনেড হামলা প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে যশোরের শার্শা উপজেলা ও বেনাপোল পৌর ছাত্রলীগ।
শুক্রবার(২১শে আগস্ট) বিকাল ৩টায় শার্শা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুর রহিম সর্দার ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন রাসেলের নেতৃত্বে বেনাপোল বাজারের সোনালী ব্যাংকের সামনে থেকে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে বেনাপোল শহরের গুরুত্বপুর্ণ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার সোনালী ব্যাংকের সামনে এসে শেষ হয়। পরে অনুষ্ঠিত হয় বিশাল প্রতিবাদ সমাবেশ ও দোয়া অনুষ্ঠান।
এতে প্রধান অতিথী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ছিলেন মোঃ আরিফুল ইসলাম রিয়াদ সাবেক সভাপতি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ যশোর জেলা শাখা ।
এ সময় প্রধান অতিথীর বক্তব্যকালে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আরিফুল ইসলাম রিয়াদ বলেন, ৭৫ এ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা এবং ২০০৪ সালে গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা একই সূত্রে গাঁথা।
‘উভয় ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা দেশের স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি ৭৫ এর খুনিদের রক্ষা করে চাকরির ব্যবস্থা এবং গ্রেনেড হামলাকারীদের বিদেশে পাঠানোর মাধ্যমে পুনর্বাসিত করেছিল’।
তিনি আরও বলেন, ২০০৪ সালে শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলা চালিয়ে হত্যাচেষ্টার উদ্দেশ্য শুধু আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করাই ছিলনা, বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরসূরীকে হত্যার মাধ্যমে দেশকে নেতৃত্বশূন্য করতে চেয়েছিল। খালেদা জিয়া ১৫ আগষ্ট জন্মদিন পালন করে খুনিদের পুরস্কৃত করেছেন।২১শে আগষ্ট জোট সরকার গ্রেনেড হামলা করে আঃলীগ নেত্রী আইভি রহমান সহ ২৪ জন নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছে।
অধিকাংশ বক্তারা বেনাপোলের পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটনকে অবৈধ দূর্নীতিগ্রস্থ মেয়র বলে আখ্যায়িত করেন। শার্শা উপজেলার আঃলীগের মুল স্রোতধারার বাইরে গিয়ে গ্রুপিং সৃষ্টি করেছে। কিছুদিন আগেও জাতীয় সংসদের নির্বাচন নিয়ে আঃলীগের বিপক্ষে বক্তব্য দিয়েছেন। যার ভিডিও বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। মেয়র লিটন তো আঃলীগ নিয়ে গ্রুপিং করবেই কারন তিনি তো জামায়াত পরিবারের সদস্য।বেনাপোলের পৌর মেয়রকে আঃলীগের মধ্যে গ্রুপিং না করার হুশিয়ারী উচ্চারন করেছেন। তারা আরও বলেন দূর্নীতিবাজ মেয়র লিটন ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতে মামলা করে ৯টি বছর বেনাপোল পৌরসভার নির্বাচনকে বন্ধ করে রেখেছেন। মেয়র লিটন ও মেহেদি হাসানকে মীরজাফর বলে উল্লেখ করেন।
এ সময় আরও বিশেষ অতিথী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বেনাপোল ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব বজলুর রহমান, বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট সমিতির সম্পাদক আজিম উদ্দিন গাজী, বেনাপোল পৌর আঃলীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহাতাব হোসেন, নিখোঁজ কাউন্সিলর তারিকুল ইসলাম তুহিনের সহধর্মিনী সালমা আলম, উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আল-আমিন রুবেল,পৌর আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক কাউন্সিলর আহাদুজ্জামান বকুল ও যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ জসিম উদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জুলফিকার আলী মন্টু ও সাধারন সম্পাদক কামাল হোসেন, বেনাপোল পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মামুন জোয়ার্দার ও সাধারন সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম তৌহিদ,শার্শা উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আরিফ হোসেন রুবেল ও আল-ইমরান,বড়আঁচড়া শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোঃ কামাল হোসেন।বাহাদুরপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সাকের আহম্মেদ সাগরসহ বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মীবৃন্দ।