
বিএনপি ভালো কাজ করেছে বলে এখনও বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল। সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তি হলেন বেগম খালেদা জিয়া। সেই কারণে সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে ভয় পায়। তাকে জেলে রেখে মেরে ফেলার চেষ্টা করছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম।
তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপরসন বেগম খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তাই সরকারের ভয়ের কারণ।
আজ শুক্রবার (০১ এপ্রিল), জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর নি:শর্ত মুক্তির দাবিতে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জনগণ সরকারের বিপক্ষে আছে তা বোঝার জন্য সামনে পিছে থেকে র্যাব-পুলিশকে সরানোর আহবান জানিয়ে আবদুস সালাম বলেন, র্যাব পুলিশ সঙ্গে থাকার কারণে সরকার জনগণের কথা শুনতে পায় না। আপনার এমপি মন্ত্রীদের বলেন র্যাব পুলিশ ছাড়া একটু ঘুরে বেড়াতে, দেখেন জনগণ কেমনে খামচায়া ধরে।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার সাথে আপনার তুলনা হয় না। বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের জন্য আপসহীন লড়াই করেছিলো। গণতন্ত্রের জন্য প্রধানমন্ত্রীত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন। এত উদার হওয়া আপনার পক্ষে সম্ভব না।
১৯৯৬ তে তত্বাবোধায়ক সরকারের জন্য আওয়ামী লীগ, জামায়াত ইসলাম, জাতীয় পার্টি যা যা করেছিলো, এখন যদি সেই তত্বাবধায়ক সরকার না দেয়া হয়, তাহলে বিএনপি তাই তাই করবে বলেও তিনি হুঁশিয়ারি দেন।
১৯৭৪ সালে ছিল আওয়ামী লীগের এনালগ লঙ্গরখানা আর বর্তমানে চলছে ডিজিটাল নঙ্গরখানা, এভাবে একটা দেশ চলতে পারে না বলে মন্তব্য করে বিএনপি’র যুগ্ন মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, তারা (সরকারের মন্ত্রীরা) থাকবে ভিআইপিখানায় আর সাধারণ জনগণ থাকবেন লঙ্গরখানায়। তারা করবে বেগম পাড়া আর সাধারণ জনগণ খাবার পাবে না। সামনে রমজান আসছে এক মুঠো চালের জন্য হাহাকার করে সাধারণ মানুষ। এভাবে দেশ চলতে পারে না।
আলাল বলেন, ১৯৭৪ সালের লঙ্গরখানা, খাবার নিয়ে কুকুর মানুষের যে কাড়াকাড়ি, বর্তমানে টিসিবির পিছনে মানুষের লাইন সেই দৌড়াদৌড়ি। যখন দেখি সন্তানকে পাশে রেখে মা টিসিবির লাইনে দাঁড়িয়েছে। মায়ের কষ্ট দেখে সন্তানও অন্য লাইনে দাঁড়িয়েছে। এর চেয়ে কষ্ট আর কি হতে পারে। এরপরও জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে নির্লজ্জের মত বলে দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায় আছে।
যুবদলের এই সাবেক সভাপতি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কথা কি বলবেন? এদের নিয়ে কথা বলে কোন লাভ নেই। একটা জিনিস পরিষ্কার ভাবে জানতে হবে, আমাদের ওপর দায়িত্ব রয়েছে এই দেশের সতীত্ব রক্ষা করার। এদেশের সতীত্ব রক্ষা করা মানে গণতন্ত্র রক্ষা করা। এদেশের সতীত্ব রক্ষা করা মানে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, জেনারেল এ জি ওসমানী, শেরে বাংলা ফজলুল হক, ভাসানী, সোহরাওয়ার্দী, শেখ মুজিবুর রহমান যে ভালো কাজগুলো করেছে, তার সাথে থাকা।
বাংলাদেশটাই একটা কারাগার মন্তব্য করে আলাল বলেন, মজনুসহ যারা কারাগারে রয়েছে তাদের সবাইকে মুক্ত করতে হবে। শুধু তাই নয় হাজার হাজার আলেম ওলামারা আজ কারাগারে রয়েছে। এই পবিত্র রমজান মাসে তাদের বয়ান আমাদের শুনার কথা। তারা কারাগারে, তাদেরকেও মুক্ত করতে হবে।