টঙ্গীর তুরাগ তীরে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নিয়েছেন, মালয়েশিয়ার মানবতার ফেরিওয়ালা ওস্তাদ ইবিট লিও। বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে অংশ নিতে ঢাকায় এসেছেন মালয়েশিয়ার সাধারণ মানুষের কাছে ‘মানবতার ফেরিওয়ালা’ খ্যাত আলোচিত দাঈ ও সমাজকর্মী ওস্তাদ ইবিট লিও।
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। সেখান থেকে সরাসরি টঙ্গী ইজতেমার ময়দানে নিয়ে আসা হয় তাকে।
বাংলাদেশে এসে বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে খোলা রিক্সায় ঘুরে বেড়ানোর একটি ছবি তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে পোস্ট করেন ইবিট লিও। সেখানে তিনি লিখেন-আলহামদুলিল্লাহ, আমি বাংলাদেশকে ভালোবাসি।
আলোচিত দাঈ ইবিট লিও একজন মালয়েশিয়ান চাইনিজ মুসলিম। তিনি মালয়েশিয়ার মুসলিম উদ্যোক্তা এবং ধর্ম প্রচারক হিসেবে সব মহলে ইবিট লিও নামে পরিচিত। তার পুরো নাম-ইবিট ইরাওয়ান বিন ইব্রাহিম লিও।
১৯৮৪ সালের ২১ ডিসেম্বর মালয়েশিয়ার পাহাং রাজ্যে তিনি জন্মগ্রহণ করেছেন। তার পিতার নাম মুয়াডজম শাহে লিউ ইউ পাউ। ১১ জন ভাই-বোনের মধ্যে তিনি তৃতীয়। দ্বীনকে অনুসরণ করে ১২ বছর বয়সে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন।
সুদর্শন সুন্নতি দাঁড়ি, ক্যাপ এবং কুর্তায় জনপ্রিয় এই ওস্তাদ ইবিট লিও তার পারিবারিক অনুপ্রেরণায় মানব কল্যাণ ও ইসলামি দাওয়াতের কাজে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন।
‘মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য’ বিখ্যাত এই উক্তিটি যেন মিলে যায় ওস্তাদ ইবিট লিও’র সাথে। একজন সমাজসেবক ও ধর্ম প্রচারক সৎ, ন্যায়-নীতিবান, উদার সমাজ সংস্কারক মালয়েশিয়ায় সর্বপরিচিত। দেশটির সুশীল সমাজ, তরুণ-নবীন, যুব-প্রবীণ সমাজে তার যথেষ্ট সুনাম রয়েছে।
ইবিট লিও ২০১৫ সালে ‘মওলিদুর রসুল’ জাতীয় পুরস্কার এবং ২০২০ সালের ১৫ আগস্ট জাতীয় যুব দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে সমাজ বিনির্মাণে এবং মহামারি করোনার সময়ে মানব কল্যাণে বিশেষ অবদান রাখায় জাতীয় যুব দিবসের বিশেষ সম্মানে ভূষিত করেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী তানশ্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিন।
এছাড়াও মানব কল্যাণে অবদান রাখায় সরকার কর্তৃক বিভিন্ন সময় তিনি একাধিক পুরস্কার পেয়েছেন।