৭২ ঘন্টার মধ্যে পরীক্ষা করা কোভিড নেগেটিভ সনদ নিয়ে বিদেশ ভ্রমণ বাধ্যতামূলক করায় যাত্রীদের হয়রানি ও আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন এভিয়শেন বিশেষজ্ঞরা। এ হয়রানি এড়াতে অন্যান্য দেশের মতো বিমানবন্দরে র্যাপিড টেস্টের ব্যবস্থা করারও দাবি জানান তারা।
তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, এই সিদ্ধান্তের ফলে বিদেশগামী যাত্রীদের কিছু বাড়তি খরচ হওয়া ছাড়া কোনো হয়রানির শিকার হতে হবে না।
গত ১২ জুলাই আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় বিদেশ গমনেচ্ছু যাত্রীদের কোভিড-১৯ মুক্ত সনদ নিয়ে বিদেশ গমনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এরপর বিদেশগামী যাত্রীদের পরীক্ষা করানোর জন্য ১৬টি কেন্দ্র নির্দিষ্ট করে দেয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। এতে বেশ কিছু শর্তও নিধারণ করে দেয়া হয়।
বিমানে ওঠার আগে এসব কেন্দ্র থেকে সকল যাত্রীর নেগেটিভ সনদ নেয়ার বাধ্যবাধকতার কথা জানিয়ে, শনিবার বিজ্ঞপ্তি দেয় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।
এদিকে, এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহিদুল আলম বলেন, যাত্রার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষা করা কোভিড সনদ নিয়ে ভ্রমণ বাধ্যতামূলক করায় অনেক বিদেশগামীই বিপাকে পড়বেন। হয়রানি কমাতে, তাই বিমানবন্দরেই র্যাপিড টেস্টের ব্যবস্থা করা যেতে পারে বলে মত দেন তিনি।
তবে বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থপক মো. কামরুল ইসলাম মনে করেন, বিদেশগামী যাত্রীদের করোনা পরীক্ষায় সরকার হাসপাতাল নির্ধারণ করে দেয়ায় রক্ষা পাবে দেশের ভাবমূর্তি।
অন্যদিকে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে যাওয়া যাত্রীদের মধ্যে করোনা পজিটিভ পাওয়ার প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ সময় বিমানবন্দরে র্যাপিড টেস্টের ব্যাপারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালেই ভালো বলতে পারবে বলেও মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।