বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলায় ২৮ বছর পর দেওয়া রায়ে বিজেপির শীর্ষ নেতা এল কে আদভানিসহ সব অভিযুক্তই খালাস পেয়েছেন। নিউজ এইটিনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩০ সেপ্টেম্বর (বুধবার) লক্ষ্ণৌর বিশেষ আদালতে এই রায় দেওয়া হয়। বিচারকের যুক্তি এই ধ্বংসলীলা পূর্বপরিকল্পিত ছিল না। তথ্যপ্রমাণও যথেষ্ট নয়।
১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর উন্মত্ত হিন্দুত্ববাদীরা অযোধ্যার শতাব্দীপ্রাচীন বাবরি মসজিদ ধ্বংস করে। মসজিদ ধ্বংসের পর অযোধ্যায় ২টি মামলা দায়ের করা হয়। একটি মামলা ছিল মসজিদ ধ্বংসের চক্রান্তের। আরেকটি মামলা করা হয় মসজিদ ধ্বংসে জনতাকে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে। দুটি মামলার বিচার প্রক্রিয়া আলাদা ভাবে চলছে। মসজিদ ধ্বংসের চক্রান্তের মামলায় বুধবার রায় দিলো লক্ষ্ণৌর আদালত। ওই মামলায় মোট ৪৯ জন অভিযুক্তের মধ্যে ১৭ জন আগেই মারা গেছেন।
নিউজ এইটিন জানিয়েছে, বাবরি ধ্বংস মামলার রায় প্রায় ২০০০ পাতার। ২ সেপ্টেম্বর শুরু হয় রায় লেখার কাজ। বুধবার সকাল ১১টা ৫০ মিনিট নাগাদ সেই রায় পড়তে শুরু করেন বিচারক সুরেন্দ্রকুমার যাদব। সকাল সাড়ে দশটা নাগাদই আদালত পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি।
মোট ২৬ জন অভিযুক্ত যোগ দেন এজলাসে। তবে বয়সজনিত কারণ দেখিয়ে আদালতে হাজির হননি আদভানি ও মুরলি মনোহর জোশি। তারা যোগ দেন ভিডিও কনফারেন্সে। করোনা আক্রান্ত হওয়ার কারণে আসতে পারেননি উমা ভারতী। আসেননি মোহান্ত নৃত্যগোপাল দাসও। অভিযুক্ত, সিবিআই-এর আইনজীবী এবং তাদের আইনজীবী ছাড়া কারও প্রবেশাধিকার ছিল না আদালত চত্বরে।
ইতোমধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে অযোধ্যা জমি মামলার। গত ৯ নভেম্বর পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের দাবি খারিজ করে সেখানে রাম মন্দির নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছে। যদিও বাবরি মসজিদ ভাঙার নিন্দাও করেছিল সর্বোচ্চ আদালত।