কুয়েত সরকার বাংলাদেশসহ পাকিস্তান, ইরান, নেপাল, ভারত, শ্রীলংকা, ফিলিপাইনসহ সাত দেশের নাগরিকদের দেশটিতে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে। এ ছাড়া অন্যসব দেশের নাগরিকরা ১ আগস্ট থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট শুরু হলে কুয়েতে ফিরতে বাধা নেই। যাত্রীদের অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে এবং পিসিআর সনদ বাধ্যতামূলক থাকতে হবে।
বৃহস্পতিবার ৩০ জুলাই স্থানীয় আরবী দৈনিক আল রাই, আল কাবাসসহ একাধিক গণমাধ্যম সংস্করণে বিষয়টি নিশ্চিত করে। এর আগে বলা হয়েছে, যারা করোনাভাইরাস আসার আগে ছুটিতে গিয়েছিলেন। ভাইরাসের কারণে এবং বিমান চলাচল বন্ধ থাকার কারণে আসতে পারেনি।
যাদের আকামার মেয়াদ শেষ কিন্তু তাদের কপিল এবং কোম্পানি তাদের আকামা অনলাইনের মাধ্যমে নবায়ন করছে না। এমন ১ হাজার প্রবাসীর আকামা বাতিল হচ্ছে প্রতিদিন।
এ ছাড়াও ছুটিতে থাকা ৬০ বছরের ওপরের প্রবাসীদের আকামা বাতিল। তবে যারা শিক্ষক, ডাক্তার ও প্রকৌশলী তাদের কোম্পানি বা কপিল চাইলে ভিজিট ভিসায় এসে আকামা পরিবর্তন করতে পারবে। কুয়েতি নাগরিক ১৪ লাখ এবং দেশটিতে বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী অভিবাসীদের সংখ্যা ৩৪ লাখ।
অভিবাসীদের সংখ্যা কমিয়ে আনতে কুয়েতের মন্ত্রিপরিষদ নানা ধরনের প্রস্তাব ও উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ ক্ষেত্রে কুয়েতে বাংলাদেশি শ্রমবাজার ধরে রাখতে কূটনীতিক প্রচেষ্টা বাড়ানো প্রয়োজন।
যে সব প্রবাসী দেশে থাকা অবস্থায় তাদের আকামা নবায়নে ব্যর্থ হয়েছেন তারা নতুন ভিসা ব্যতিত কুয়েতে প্রবেশ করতে পারবেন না।
কিন্তু যে সব প্রবাসীর আকামার মেয়াদ আছে তাদের ছুটির মেয়াদ ৬ মাসের পরির্বতে ১২ মাস করা হয়েছে। ফ্লাইট চলাচল শুরু হলে তারা কুয়েতে প্রবেশ করতে পারবেন।