বাংলাদেশকে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার শেখানোর কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। আওয়ামী লীগ সরকার বুলেট নয়, ব্যালটের মাধ্যমে আবারও ক্ষমতা আসতে চায় বলেও জানান তিনি। মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর বাংলাদেশ সফরে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ে কী ধরনের আলোচনা হবে; সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
২০২১ সালের ডিসেম্বরে র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং মার্কিন রাষ্ট্রদূতের মানবাধিকার ও গণতন্ত্র নিয়ে বক্তব্য বারবারই প্রশ্ন তুলেছে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সর্ম্পক নিয়ে। ২০২২ সালে ১৬ বার উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে দুই দেশের মধ্যে। সাক্ষাৎ হয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়েও।
এরইমধ্যে শনিবার (১৪ জানুয়ারি) রাতে বাংলাদেশ সফরে আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। রোববার তিনি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে। সৌজন্য সাক্ষাৎ হবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও মন্ত্রীর সঙ্গে। এছাড়া নাগরিক ও সুশীল সমাজের সাথেও সাক্ষাতের কথা রয়েছে তার।
মার্কিন দূতাবাসের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফরে জ্বালানি, বাণিজ্য, নিরাপত্তা সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করবেন। অগ্রাধিকারে থাকবে শ্রম অধিকার ও মানবাধিকার ইস্যু।
এদিকে সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্র, মানবাধিকারসহ নানা ইস্যুতে আলোচনা হতে পারে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে। গ্রহণযোগ্য মতামত পেলে তা বিবেচনা করেও দেখা হবে। তবে অন্য রাষ্ট্রের গণতন্ত্র শেখার প্রয়োজন নেই বাংলাদেশের।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আমরা বন্ধু দেশ। তাই তারা আমাদের অনেক উপদেশও দেয়। আর যেটা ভালো, আমরা তা গ্রহণও করি। আমাদের অন্য কারও এসে গণতন্ত্র শেখানোর কিছু নেই। আমাদের প্রত্যেকের হৃদয়ে গণতন্ত্র আছে। আমাদের প্রত্যেকের হৃদয়ে মানবাধিকার আছে।
র্যাব বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আলোচনার মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা উঠে আসবে বলে আশা করে বাংলাদেশ। ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, জনগণ র্যাবকে চায়। কারণ, তাদের পারফরমেন্স খুবই ভালো। আমেরিকা অন্য কোনো কারণে র্যাবের উপর চাপ প্রয়োগ করেছে। আমার মনে হয়, আলোচনার মাধ্যমে এসব থেকে উত্তরণ ঘটানো সম্ভব হবে।