সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রতারণা করে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে তিনি বিদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ- সিআইডি। গ্রেফতারকৃত তিন জনের মধ্যে একজন কেনিয়া এবং বাকি দুই জন ক্যামেরুনের নাগরিক।
বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) দুপুরে সিআইডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) শেখ মোহাম্মদ রেজাউল হায়দার।গ্রেফতারকৃতরা হলো, সলেমান ওরফে এনগোয়াগ্যাং তেগোমো বারতিন, এনগোয়েনাং তোয়োসার্জ ক্রিস্টিয়ান, গেস একংগো আরনাস্ট ইব্রাহিম। বুধবার দিবাগত রাতে রাজধানীর ভাটারা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
ডিআইজি শেখ মোহাম্মদ রেজাউল হায়দার বলেন, ‘এই তিন জন দীর্ঘদিন ধরে নানা কৌশলে ফেসবুকের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল। ২০১৮ সাল থেকে তারা বাংলাদেশে অবস্থান করছে। তাদের সঙ্গে কোনও পাসপোর্টও পাওয়া যায়নি। ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে তারা অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থান করে প্রতারণা করে আসছিল।’
গ্রেফতারকৃতদের প্রতারণার ধরণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘গ্রেফতারকৃতরা প্রথমে ফেসবুকে ফেক আইডি এবং নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করে। প্রথমে তারা বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এরপর দামি গিফট পাঠানোর নাম করে কাস্টমস থেকে ছাড়িয়ে নিতে কৌশলে অর্থ হাতিয়ে নেয়। এদের সঙ্গে বাংলাদেশী নাগরিকও জড়িত রয়েছে।’
পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, গ্রেফতারকৃতরা এক নারীর নামে ভুয়া ফেসুবক আইডি খুলে আরিফুল ইসলাম ওরফে ফয়সাল নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে বন্ধুত্ব করে। বিভিন্ন কৌশলে তার কাছ থেকে মোট ২২ লাখ ৬৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। এর মধ্যে নগদ ৮ লাখ ৭০ হাজার টাকা এবং ব্যাংকের মাধ্যমে ১৩ লাখ ৯৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক চক্রটি। পরবর্তীতে আরিফুলের দেওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করতে গিয়ে প্রতারক এই চক্রটিকে শনাক্তের পর গ্রেফতার করা হয়।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানান, গ্রেফতারকৃত আসামিরা অনেক আক্রমণাত্মক। পুলিশের অভিযানের সময় তারা পুলিশের ওপর হামলা চালানোর চেষ্টা করেছে। তাদের রিমান্ডে নিয়ে সহযোগীদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালানো হবে। একই সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ইমিগ্রেশনের মাধ্যমে তাদের দেশের আসার বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ-খবর করা হবে।