নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বিভিন্ন অপকর্মের মহানায়ক হিসাবে নিজেকে জরিয়ে সমাজের কিছু দু:স্কৃতি টেন্ডারবাজদের সহযোগি হয়ে দীর্ঘ দিন যাবত সন্ত্রাসের রাম রাজত্ব কায়েম করে শুধু ত্রাসেরই সৃষ্টি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে ফরিদপুর সদর উপজেলার ডিক্রীরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান মিন্টুর নামে। ফরিদপুর তথা দেশকে কলুষিত করার যে ধীঢ় প্রত্যয় নিয়ে জঘন্য অপরাধ করে চলেছে তা সকলের কাছে এক ভয়ঙ্কর বিস্ময় এর সৃষ্টি হয়েছে।
এলকাবাসি অভিযোগ করে জানান, “নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মিন্টু জয়ী হওয়ার পর থেকেই অদ্যাবধী এই ইউনিয়নে ব্যাপক অনিয়ম চালিয়ে আসছে। ক্ষমতাসীন দলের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আস্থাভাজন হয়ে, তাদের ছত্রছায়াকে পূজি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন চেয়ারম্যান মিন্টু। এলাকায় চাঁদাবজির ক্ষ্যাতি অর্জন করতে গিয়ে সমাজে অসহায়,গরীব দুখি:দের ভয় দেখিয়ে ধলার মোড় এলাকায় বালুর ব্যাবসা করে আয় করেছেন কোটি টাকা। এ ছাড়াও স্বাস্থ্য বিভাগের আফজাল হোসেন এর নামে ১৫ হাজার কোটি টাকা দূর্নীতির মামলায় পলাতক রয়েছেন। এদিকে মিন্টু চেয়ারম্যান এর খালাতো ভাই হওয়ায় দূর্নীতি বাজ আফজাল হোসেনকে পালানোর সহযোগিতায় তার নাম জরিয়ে আছে বলে এলাকাবাসি জানান। মিন্টুকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এই দূর্নীতিবাজ আফজাল কোথায় লুকিয়ে রয়েছেন তা জানা যাবে বলে মনে করছে সচেতন মহল।
এলাকাবাসি আরো জাানান, ফরিদপুর শহর তলিতে হেলমেট বাহিনির যে আতংক ছিল তার প্রধান সহযোগি ছিল এই মিন্টু চেয়ারম্যান। গত নির্বাচনের মিন্টুকে জয়ী করার জন্য দূর্নীতিবাজ আফজাল নিজে দাড়িয়ে থেকে ১ কোটি টাকা খরচ করেন। এছাড়া ও আফজাল হোসেনের ২ টি ইটের ভাটা সম্পুর্ন রক্ষনাবেক্ষন করে এই মিন্টু চেয়ারম্যান। এ ছাড়াও সিএন্ডবি ঘাটে শীর্ষ মাদক ব্যাবসায়ী হিসাবে ঐ এলাকায় তিনি বিশেষ ভাবে পরিচিত। তার বিশ্বাস ভাজন কিছু ব্যাক্তিদ্বয় দ্বারা দীর্ঘ দিন ধরে মাদকের রমরমা ব্যাবসা পরিচালোনা করে আসছে। যে ব্যাবসার সম্পুর্ন লভ্যাংশ একাই ভোগ করেন। মানুষকে কথা দিয়ে নয় ভয় দেখিয়ে নিজের কাজ হাসিল করার উদ্দেশ্যেই ক্ষমতালোভী এই সন্ত্রাসী নিজের একটি ক্যাডার বাহীনি তৈরি করে জমি জোর দখল, টেন্ডারবাজি করা, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যাবসা, নারী নির্যাতনসহ সমাজে ঘটে যাওয়া নানা অন্যায় কাজের সাথে লিপ্ত হয়ে বিভিন্ন অপকর্ম করেছে যা কখোনও প্রকাশ পায়নি এই সচেতন বাংলাদেশে। তার অত্যাচারের নির্মমতার শিকার হয়েছেন ২০১৩ সালে রুবেল। জানা যায় এই ব্যাক্তিকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে বস্তায় ভিতরে মুখ বেঁধে নদীর পানিতে ফেলে দেয়। পরে এলাকাবাসির সহযোগিতায় এই ব্যাক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করা হয়। তবে ডিক্রীরচর ইউনিয়ে যুবলীগের আহবায়ক হিসেবে দাবি করে এলাকায় অনেক অপকর্ম করেছেন। কিন্তু পরে দেখা যায় তিনি কোন যুবলীগের সাথে সম্পৃক্ত নয়। এলাকাবাসি তার এই একাকিত্ব শাসন ও নির্যাতনের হাত থেকে নিস্তার পেতে চাইলেও মিন্টুর ভয়ে কেউ কথা বলতে পারে না। যদিও বা কেউ অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে চাইলেও তাকে প্রাণনাশের হুমকির কবলে পরতে হয়। ফলে খুব সহজেই নিজ ক্ষমতা জোরে তার এই সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালিয়ে যেতে সক্ষম হচ্ছে।
ফরিদপুর জেলায় একজন চেয়ারম্যানের নামে মাদক ব্যাবসায়ী, খুনী, চাঁদাবাজসহ বিভিন্ন অপকর্মের উপাধি থাকায় খুবই লজ্জাকর বলে মনে করছে এলাকাবাসি। তাই চেয়ারম্যান মিন্টুর দুর্নিতির বিষয়টি নিবিড় পর্যবেক্ষন করে তদন্ত পূর্বক, আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন ও এলাকাবাসিদের স্বাধীন ভাবে বাঁচার আশ্বাস চেয়ে ফরিদপুর জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করছে ইউনিয়নবাসী। অভিযুক্ত মেহেদী হাসান মিন্টু চেয়ারম্যানের সাথে কথা হলে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেন।