ফরিদপুর প্রতিনিধি: চাঁদাবাজ, ডাকাতি, দস্যুতা, ও অস্ত্রসহ সর্বমোট ১৮ টি মামলার আসামী ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের ভাটি কানাইপুর এলাকার মৃত হানিফ মাতুব্বরের পুত্র শীর্ষ সন্ত্রাসি খায়রুজ্জামান ওরফে খাঁজা মাতুব্বর এবং তার অন্যতম ২ সহযোগিকে গ্রেপ্তার করেছে কোতয়ালী থানা পুলিশ।
এ বিষয়ে ১৫ মে শনিবার দুপুরে ফরিদপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা (অপরাধ ও ট্রাইবুনাল) এক সংবাদ সম্মেলন করেছে। এ সময় সহকারি পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন সরকার (সদর সার্কেল), কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ এমএ জলিল, দৈনিক নাগরিক দাবি পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক ও সাংবাদিক জোট ফরিদপুর জেলা শাখার সভাপতি হায়দার খান, প্রথম আলো পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার প্রবির কান্তি বালা, সাংবাদিক জোট ফরিদপুর জেলা শাখার সদস্য গৌতম ভদ্রাসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, আটককৃত খাজা ও তার বাহিনী মিলে সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নসহ আশপাশ এলাকায় চাঁদাবাজি, ডাকাতি, ভূমি দস্যুতাসহ নানা ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালোনা করে আসছিল। এই বাহিনির অন্যতম হোতা খাজার বিরুদ্ধে ১৮ টি মামলা চলমান রয়েছে। এরই ধারাবহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ১৪ মে শুক্রবার দিবাগত রাত ৮.৩০ মিনিটের সময় কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি বিশেষ অভিযানিক দল কানাইপুর ইউনিয়নের লক্ষিকোল এলাকায় অভিযান পরিচালোনা করে। এ সময় শীর্ষ সন্ত্রাসি খায়রুজ্জামান ওরফে খাঁজা মাতুব্বর এবং তার অন্যতম ২ সহযোগি শহরের লক্ষিপুর এলাকার জামাল মাতুব্বর এর পুত্র সোহেল মাতুব্বর, ও মধূখালী থানার ভাটি গোপালদি এলাকার রুহুল আমিন এর পুত্র রাজু পাটোয়ারী (২৫) কে আটক করে পুলিশ। জানা যায়, শীর্ষ সন্ত্রাসি খায়রুজ্জামান ওরফে খাঁজা মাতুব্বর এর বিরুদ্ধে একটি অস্ত্র মামলায় ৪ বছর কারা ভোগ করে গত কয়েক মাস পুর্বে কারাগার হইতে মুক্তি লাভ করে। খাজার অন্য সহযোগি সোহেল এর বিরুদ্ধে অপহরণ, চাঁদাবাজিসহ ৮টি মামলা বিচারাধীন তদন্তাধীন চলমান রয়েছে। এ ছাড়া অপর সহযোগী রাজুর বিরুদ্ধে দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানায় একটি চাঁদাবাজি মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, অত্র আসামীদের বিরুদ্ধে মো: পারভেজ বাদি হয়ে গত ১ মে কোতয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের হয়, যার ধারা ১৪৩/৩৪১/৩৮৫/৩৮৬/৩৮৭, পেনাল কোড এর এজাহার নামীয় আসামী হওয়ায় তাদেরকে উক্ত মামলায় গ্রেপ্তার পুর্বক বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করত: জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করা হচ্ছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের নিকট থেকে তথ্য পাওয়া গেলে অথবা কোন ক্ষতিগ্রস্থ আবেদন করলে পরবর্তিতে আরো আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানিয়েছে। প্রসঙ্গত গত ১৪ই এপ্রিল ফরিদপুর থেকে প্রকাশিত দৈনিক নাগরিক দাবি পত্রিকা, জাতীয় দৈনিক লাখোকন্ঠসহ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় “কানাইপুরে খাঁজা বাহিনীর অত্যাচার থেকে মুক্তি চায় ইউনিয়ন বাসী” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পরই নড়েচরে বসে পুলিশ। অবশেষে সেই শীর্ষ সন্ত্রাসী খাজাকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে ফরিদপুর কোতয়ালী থানা পুলিশ।