ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধিঃ ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার বানা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী হারুনার রশীদের ছেলে কাজী আব্দুল্লাহ্ আল রশীদকে (৪০) প্রতারণা ও চেক জালিয়াতির মামলায় জেলহাজতে।
গত ২৭ মে (বৃহস্পতিবার) ফরিদপুর আমলী আদালতের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন
জানা যায়, ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার দক্ষিণ কামারগ্রাম নিবাসী আবুল বাসার মিয়ার ছেলে মেহেদি হাসান বাদী হয়ে আলফাডাঙ্গা উপজেলার হারুনার রশীদের ছেলে কাজী আব্দুল্লাহকে আসামী করে মামলা করেন। মোকদ্দমা দণ্ডবিধি আইনের ৪০৬/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৫০৬ (বি) ধারায় ফরিদপুর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মামলা দায়ের করেন।
মামলার সূত্রে জানা যায়, কোম্পানির চেয়ারম্যান হিসেবে মেহেদি হাসান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে কাজী আব্দুল্লাহ আল রশীদ ২০১৭ সালে একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান চালু করেন।কাজী আব্দুল্লাহ আল রশীদের সাথে সম্পর্ক খারাপ হওয়ায় ২০২০ সালে অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগে মেহেদি হাসান কোম্পানির অংশীদারীত্ব ছেড়ে দেন,এবং কাজী আব্দুল্লাহ আল রশীদের নিকট সাত লক্ষ টাকা পাওনা থাকে। মেহেদি হাসান ওই টাকা আদায়ের জন্য ২০২০ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বোয়ালমারী ওয়াপদা মোড়স্থ কাজী আব্দুল্লাহর অফিসে যান।সেখানে পকেটে থাকা মেহেদি হাসানের মানিব্যাগটি পড়ে যায়।
মানিব্যাগে স্বাক্ষরিত-অস্বাক্ষরিত বেশ কিছু চেকের পাতা ছিল।
মেহেদি হাসান অভিযোগ করেন, আমার হারানো চেকের পাতায় ২৫ লক্ষ টাকা ইচ্ছেমতো লিখে ব্যাংকে থেকে ডিজঅনার করান,এবং মেহেদি হাসান বাদি হয়ে ফরিদপুর বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় মেহেদি হাসান বাদি হয়ে ফরিদপুর ৭ নং আমলী আদালতে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন।কোর্ট ২০২০ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব দেয় পিবিআইকে (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন)। পিবিআই মামলাটির অনুসন্ধান শেষে ২০২১ সালের ২ জানুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়।
বিবাদী কাজী আব্দুল্লাহ বিরুদ্ধে পেনাল কোডের৪০৬/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৫০৬ (বি) ধারার অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়। এরপর ওই সিআর মামলায় গত ২ মার্চ কাজী আব্দুল্লাহ আল রশীদ হাইকোর্টে বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি এম জাহিদ সরোয়ারের বেঞ্চে আগাম জামিন চাইলে হাইকোর্ট ডিভিশন ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন মঞ্জুর করে এবং নিম্ন আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ প্রদান করে। কিন্তু কাজী আব্দুল্লাহ সময় মতো কোর্টে হাজির না হয়ে গত বৃহস্পতিবার (২৭ মে) ফরিদপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে হাজির হলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।