জামালপুর শহরে প্রেম করে বিয়ের ৩ বছর পর ছাড়াছাড়ি হয় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। তালাকের আড়াই মাস পর প্রকাশ্যে সাবেক স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে স্বামীর বিরুদ্ধে।
আহত ওই নারীকে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় সাবেক স্বামী মো. শাহীন আলমকে (২১) জনগণের সহায়তায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আটক করেছে।
শনিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে জামালপুর শহরের তমালতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত নারীর নাম সাবিনা ইয়াসমিন (২১)। তিনি শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার জোকাকুঁড়া গ্রামের সালেহ আহম্মেদের মেয়ে। তিনি জামালপুরের একটি বেসরকারি নার্সিং ইনস্টিটিউটের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি জামালপুর শহরের পাঁচরাস্তা এলাকায় একটি মেসে থাকেন।
অভিযুক্ত শাহীন আলমের বাড়িও শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলায়। তার বাবার নাম আব্দুল জলিল।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই যুবকের সঙ্গে সাবিনা ইয়াসমিনের নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে তাদের সাড়ে তিন বছর আগে বিয়ে হয়েছিল। তবে তাদের আড়াই মাস আগে তালাক হয়েছে। ওই নারী জামালপুর শহরে থেকে পড়াশোনার পাশাপাশি একটি বেসরকারি হাসপাতালে চাকরি করেন।
আহত সাবিনা ইয়াসমিনের বান্ধবী সুমি আক্তার বলেন, বিকালে আমরা পরীক্ষা শেষে ইজিবাইকে করে শহরের তমালতলা এলাকায় যাচ্ছিলাম। এ সময় তার সাবেক স্বামীও ইজিবাইকে উঠে বসেন। তখন তিনি বারবার পেছন ফিরে তাকাচ্ছিলেন। পরে ওই যুবককে ইজিবাইক থেকে নামতে বলি।
এ সময় যুবকটি ইজিবাইকের মধ্যেই সাবিনা ইয়াসমিনকে ছুরিকাঘাত করতে থাকে। ছুরিকাঘাতের একপর্যায়ে রাস্তায় পড়ে যান ইয়াসমিন। তারপরও এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করছিল সে। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে ধরে ফেলেন। স্থানীয় লোকজন সাবিনাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আল ইমরান জানান, ওই নারীকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তার শরীরে ৪ থেকে ৫টি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
জামালপুর সদর থানার ওসি রেজাউল ইসলাম খান জানান, ওই নারীকে প্রকাশ্য দিবালোকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। আহতের শরীরে বেশ কয়েক জায়গায় আঘাত করা হয়েছে। ঘাতককে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।