১১২ প্রবাসী কর্মী আবুধাবি বিমানবন্দর থেকে ফেরত আসায় আবুধাবির ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকেই দুষছে এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি। দুটি বিমানসংস্থায় যাওয়া এই যাত্রীদের সরকারি ব্যবস্থায় আবার সেখানে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নিতে সুপারিশ করেছে কমিটি।
তারা আরও বলছে, দুই এয়ারলাইন্সের ভুল থাকলেও এ ঘটনার জন্য তারা দায়ী নয়।
বুধবার তদন্ত কমিটির উপস্থিতিতে তদন্ত প্রতিবেদনের সার সংক্ষেপ তুলে ধরে এসব তথ্য জানান বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান।
তদন্ত প্রতিবেদন প্রসঙ্গে বেবিচক চেয়ারম্যান জানান, আন্তঃমন্ত্রণালয় সিদ্ধান্তে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটিকে পাঁচ কর্মদিবস সময় দেওয়া হয়। যদিও তথ্য উপাত্ত সংগ্রহের জন্য তাদের অতিরিক্ত এক কর্ম দিবস দেওয়া হয়।
তারা প্রতিবেদন দিয়েছে, যা বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদনের ভিত্তিতে মন্ত্রণালয় পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।
মফিদুর রহমান বলেন, ‘মূলত আবুধাবির ইমিগ্রেশন জটিলতার কারণে সেখান থেকে যাত্রী ফেরত এসেছে।
দুবাই ও সারজাহ রুটে এমন ঘটনা ঘটেনি। আবুধাবির ইমিগ্রেশন বিভাগ তাদের পলিসি পরিবর্তন করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল। সেখানে বলা হয়, যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাদের যেতে হলে দ্য ফেডারেল অথরিটি ফর আইডেন্টিটি অ্যান্ড সিটিজেনশিপের (আইসিএ) ওয়েব সাইটে গিয়ে আবেদন করে অনুমতি নিতে হবে। কিন্তু আমাদের যাত্রীরা এ বিষয়টি মিস করে গেছেন। এ বিষয়ে সুস্পষ্ট তথ্যও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও এয়ার অ্যারাবিয়া পায়নি। যার কারণে সেদেশের বিমানবন্দরে গিয়েও যাত্রীদের ফিরে আসতে হয়েছে।’
উৎসঃ বাংলাট্রিবিউন