জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে প্রতি বছরই গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া আসেন তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে এ বছর করোনা পরিস্থিতির কারণে তিনি বাবার সমাধিতে আসতে পারেননি। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সমাধি সৌধের বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমদ চৌধুরী।
শনিবার (১৫ আগস্ট) সকাল ১০টায় জাতির জনকের সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এ সময় তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল অনার গার্ড প্রদান করে। বেজে ওঠে বিগউলের করুন সুর। পরে বঙ্গবন্ধু ও পরিবারের নিহত সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত হয়।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে প্রেসিডিয়াম সদস্য লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফারুক খান এমপি-র নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের পক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানান নেতাকর্মীরা।
এসময় প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, সংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এমপি, আফজাল হোসেন, সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, আনিসুর রহমান, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী এমদাদুল হক, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খানসহ জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এরপর জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষকে শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ দিতে বঙ্গবন্ধু সমাধি সৌধ কমপ্লেক্স উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে প্রেসিডিয়াম সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যেসব খুনি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বিদেশে ফাঁসির দণ্ড মাথায় নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে সরকার। যে দেশে পালিয়ে আছে সে দেশের সরকারের সঙ্গে আলাপ আলোচনা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’
প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবীর নানক বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পেছনে জিয়াউর রহমান জড়িত। তাই দেশের মানুষ জিয়াউর রহমানকে ঘৃণাভরে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে।’
বেলা ১১টায় সমাধি সৌধ কমপ্লেক্স মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মাহফিলে কেন্দ্রীয় নেতারা অংশ নেন।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে টুঙ্গিপাড়ার বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কালো পতাকা টানানো হযেছে। জেলার বিভিন্ন সড়কে নির্মাণ করা হয়েছে তোরণ।