পুরুষ হয়ে নারীর কণ্ঠে প্রতারণা। হ্যাঁ ৫০ ঊর্ধ্ব আলী আকবর নারী কণ্ঠে আত্মীয় পরিচয় দিয়ে কৌশলে মহিলাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন বিপুল পরিমাণ অর্থ। এ কাজে তার সহযোগী ছিল স্ত্রী-পুত্র। ডিবির সাইবার বিভাগের ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম টিম প্রতারক আকবর ও তার ছেলেকে রাজধানীর গেন্ডারিয়া থেকে গ্রেফতার করেছে।
জানা যায়, বাংলা সিনেমায় নায়ক মেয়ে কণ্ঠে নায়িকার বাবার সাথে টেলিফোনে কথা বলা দেখেই বিষয়টি রপ্ত করেন আলী আকবর। একসময় নারী কণ্ঠে পারদর্শী হয়ে উঠেন। তখনই আলী আকবরের মাথায় আসে প্রতারণার বিষয়টি।
বছর পাঁচেক ধরে রাজধানীর গেন্ডারিয়া থেকে আকবর টেলিফোনে মহিলাদের সাথে আত্মীয় সেজে প্রতারণা করে আসছিলেন। বিপদের কথা বলে টাকা হাতিয়ে নিতে শুরু করেন।
ভুক্তভোগী মহিলারা জানিয়েছেন, টেলিফোনে এমনভাবে নারী কণ্ঠে কথা বলেন, যেনো অনেক পরিচিত। বিপদের কথা জানিয়ে টাকা চাইতেন আকবর।
রুমানা জান্নাত নামে এক ভুক্তভোগী জানান, তখন আমার মানসিকভাবে বাজে সময় যাচ্ছিলো। তাই আর অন্য কোনো চিন্তা-ভাবনার সুযোগ ছিল না। আমি তাকে বলি যে ঠিক আছে পাঠিয়ে দিচ্ছি। এরপর ৫ হাজার টাকা পাঠানোর পর সে সাথে সাথে আমাকে আবারও ফোন করে। এবং ভুল করে ৫ হাজার বলেছে জানিয়ে ১০ হাজার টাকা লাগবে জানায়। এবং বাকি ৫ হাজার টাকা পাঠাতে বলে।
ডিবি কর্মকর্তা জানালেন, প্রতারক আকবরের টার্গেট ছিলো ভিআইপি সিম ব্যবহারকীরা। কল দেয়ার আগে ‘ইমো’ অ্যাপসের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর নাম জেনে নিতেন আকবর। প্রতারণার টাকা ইয়াবা সেবনেই বেশি করতেন।
ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম ডিভিশনের ডিসি মো. শরিফুল ইসলাম, এই প্রতারণার ধরনটা আমরা একটু ভিন্নরূপে পেয়েছি। কারণ এর আগে আমরা দেখেছি, পুরুষ সেজে পুরুষের সাথে প্রতারণা করতো। অথবা পাসওয়ার্ড বা পিন নাম্বার জেনে নিতো। কিন্তু এখানে পিন-পাসওয়ার্ডের প্রয়োজন ছিল না।
এছাড়াও যেকোনো ব্যক্তি বিশেষ করে মহিলারা এমন ফোন পেলে অবশ্যই যাচাই করার আহবান জানান, এই পুলিশ কর্মকর্তা।