
প্যারিস সেন্ত জার্মেইর (পিএসজির) প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল বলে কথা। ফাইনাল পর্তুগালের লিসবনে হলেও সম্ভাব্য বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা ছিল ফ্রান্সে। ফরাসি ক্লাবটি যদি শিরোপা জিতেই যায়, তাহলে উদযাপন হতে পারে বাঁধন হারা। করোনা-কাল হওয়াতে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবেই প্যারিসের প্রধান উৎসব কেন্দ্রেও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। তাতেও অবশ্য অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়ানো যায়নি। হারের যন্ত্রণা মেনে নিতে না পেরে গাড়িতে অগ্নি সংযোগসহ পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন পিএসজি সমর্থকরা।
পিএসজি স্টেডিয়াম পার্ক দু প্রিন্সেসে বড় পর্দায় খেলা দেখতে প্রায় ৫ হাজার ভক্ত জড়ো হয়েছিলেন। উপস্থিত সকলের মনে ছিল একটাই আশা। ২৭ বছর পর ফরাসি কোনও ক্লাব ঘরে তুলবে চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা। তাদের সব আশায় জল ঢেলে ১-০ গোলে শিরোপাটি জিতে নিয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ। উপস্থিত দর্শকেরা এমন হার মেনে নিতে পারেননি।
মাঠে ধস্তাধস্তির পর প্যারিসের প্রধান উৎসব কেন্দ্র শাঁজে লিজেতে শেষ রাতে শুরু হয় সংঘর্ষ। অগ্নিসংযোগ করা হয় গাড়িতে। কোথাও কোথাও ভাঙচুর করা হয় দোকানপাট। অনেক বাড়ির জানালাও ভেঙে ফেলা হয় পাথর ছুঁড়ে।
পুলিশ জানিয়েছে, তাণ্ডব চালানোর অভিযোগে ১৪৮জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরালদ জারমানিন জানিয়েছেন, এই ঘটনায় ১৬ পুলিশ আহত হয়েছেন। হামলা চালানো হয়েছে ১২টি দোকানে। রাতভর হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৫টির মতো গাড়ি।