![IMG_20200925_205322](https://banglaexpressonline.com/wp-content/uploads/2020/09/IMG_20200925_205322.jpg)
মাসব্যাপী প্রচার-প্রচারণা শেষে শনিবার পাবনা-৪ উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে। এবার এই উপনির্বাচনে আওয়ামীলীগ ও বিএনপি প্রার্থী ও তাদের কর্মীদের তৎপরতার কারণে নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় ভোটার উপস্থিতি ভাল হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তবে আবহাওয়ার উপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। শুক্রবার দুপুর থেকে বৈরি আবহাওয়া চলছে।
পাবনা জেলা সিনিয়র নির্বাচন অফিসার আব্দুল লতিফ শেখ জানান, স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। তিনি জানান, পাবনা-৪ আসনে দুটি পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়ন রয়েছে। এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৮১ হাজার ১১২ জন। ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা রয়েছে ১২৯টি। এসব ভোট কেন্দ্রে ২ হাজার ৩০১ জন প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করবেন।
গত ২রা এপ্রিল পাঁচবারের নির্বাচিত এমপি ও সাবেক মন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফের মৃত্যুর পর পাবনা-৪ আসনটি শূন্য হয়। এবার আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন তিনবারের নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান বিশ্বাস। তৃতীয়বারের মতো বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব। এছাড়া তৎপরতা না থাকলেও জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে রেজাউল করিমকে।
এদিকে গত এক মাস ধরে এই উপনির্বাচন নিয়ে উল্লেখযোগ্য কোনো ঘটনা না ঘটলেও গত বুধবার রাতে নৌকার প্রার্থী নুরুজ্জামান বিশ্বাসের দুটি নির্বাচনী অফিস ভাংচুর ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এই হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি একে অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেও ঈশ্বরদী থানায় বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীকে আসামি করে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুটি মামলা হয়েছে। ওই দুই মামলায় ২৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নুরুজ্জামান বিশ্বাস জানান, পরাজয় নিশ্চিত জেনে বিএনপির লোকজন অফিসে হামলা করে পানি ঘোলা করতে চাচ্ছে।
অন্যদিকে হাবিবুর রহমান হাবিব বলেছেন, এটি আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে ঘটেছে। নিজেরা হামলা করে বিএনপির কর্মীদের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে।ঈশ্বরদী থানার ওসি সেখ নাসীর উদ্দীন এ ঘটনা ও দুটি মামলা বিষয়ে জানিয়ে বলেন, পুলিশ আইনি ব্যবস্থা নেবে।
নির্বাচন উপলক্ষে প্রায় ১৫ দিন যাবত আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতি ও পথসভায় বক্তব্য রাখার ঘটনা ছিল উল্লেখ করার মতো। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি ফজলুল হক প্রমুখ এবং বিএনপির সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সাবেক প্রতিমন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, আমান উল্লাহ আমান প্রমুখ নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন।