বিশ্ব রাজনীতির গতিপথ পাল্টে দেয়া ভয়াবহ ‘নাইন-ইলেভেন’ হামলার ২১তম বার্ষিকী আজ। গোটা বিশ্বকে নাড়িয়ে দেয়া সন্ত্রাসী হামলায় তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের গর্ব টুইন-টাওয়ার। প্রাণ যায় ৩ হাজার মানুষের। পঙ্গুত্বের শিকার বহু মানুষ। হামলায় বেঁচে যাওয়াদের আজও তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে দুঃসহ স্মৃতি। খবর ভয়েস অব আমেরিকার।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর। স্থানীয় সময় সকাল ৮.৪৬ মিনিট। নিউইয়র্কের প্রতীক হয়ে ওঠা ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের নর্থ টাওয়ারে আছড়ে পড়ে যাত্রীবাহী বিমান। অবিশ্বাসের রেশ না কাটতেই ঠিক ১৭ মিনিটের ব্যবধানে সাউথ টাওয়ারে হামলা। আকাশচুম্বী টুইন টাওয়ার ধুলোয় মিশে যাওয়া দেখে থমকে গিয়েছিল পুরো বিশ্ব।
এখানেই শেষ নয়, ৪৯ মিনিট পর ছিনতাই করা ৪ বিমানের তৃতীয়টি আঘাত হানে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর- পেন্টাগনে। কাছাকাছি সময়ে পেনসিলভেনিয়ার আকাশে বিধ্বস্ত হয় চতুর্থ বিমানটি। সবমিলিয়ে প্রাণহানি দাঁড়ায় প্রায় ৩ হাজার।
ধ্বংসযজ্ঞের ২১ বছর পরও কাটেনি দুঃস্বপ্নের রেশ। হামলার সাক্ষী হয়েছিলেন যারা, ঘটনার বিভীষিকা আজও তাড়িয়ে বেড়ায় তাদের।
মার্কিন ইতিহাসের ভয়াবহতম ওই হামলার পর নড়েচড়ে বসে যুক্তরাষ্ট্র। দায়ী করা হয় ওসামা বিন লাদেনের নেতৃত্বাধীন জঙ্গি সংগঠন আল কায়েদাকে। লাদেনকে আশ্রয় দেয়ার অভিযোগে আফগানিস্তানে শুরু হয় সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান। ইরাক ও আফগানিস্তানে যুদ্ধে নিহত হয় লাখ লাখ নিরীহ মানুষ। হাজার হাজার কোটি ডলার অর্থ ব্যয় হয়। অর্জন নেই।
পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে মৃত্যু হয় লাদেনের। লাদেন হত্যাকেই সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানের বড় সাফল্য হিসেবে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র।
২০০১ সালে আফগানিস্তানে শুরু হয় সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান। থেকে শুরু করে ইরাক সিরিয়ায় আইএস বিরোধী অভিযান। স্তিমিত হয়নি জঙ্গিবাদের প্রকোপ। বরং সোমালিয়ায় আল শাবাব, নাইজেরিয়ায় বোকো হারাম, সিরিয়া-ইরাকে আইএস, পাকিস্তানে লস্কর ই তৈয়বা, ভারতে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে।