আব্দুল্লাহ আল শাহীন: এখন আর খেলার মাঠে নামার আগে হারেনা জামাল, রাকিব, তারিক কাজীরা। এর ফল কিন্তু আমরা পাচ্ছি। চোখে চোখ রেখে লড়াই করতে শিখেছে ফুটবল দল। খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস সফলতা এনে দিচ্ছে দলকে। বিশ্বকাপ-২০২৬ এর প্রাক বাছাই পর্বের প্রথম ম্যাচে শক্তিশালী মালদ্বীপের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করে নতুন করে স্বপ্ন দেখালো জামাল বাহিনী। ১৭ তারিখের হোম ম্যাচে জিতলেই মূল বাছাইয়ে অংশ নেবে বাংলাদেশ ফুটবল দল৷ ১২ অক্টোবর ফিফা রেংকিংয়ে প্রায় ৫০ ধাপ এগিয়ে থাকা দলের সঙ্গে ভালো খেলার পেছনে ৫ টি কারণ উল্লেখযোগ্য ছিল।
১, বাংলাদেশের কোচের নতুন ফর্মেটে ম্যাচ খেলা৷ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে নম্বর নাইন বা স্ট্রাইকার ছাড়া দুই উইঙ্গার দিয়ে গোল করানোর পরিকল্পনায় মাঠ সাজান৷ এটাকে ফুটবলের ভাষায় ডায়মন্ড বলা হয়। জামাল ভূইয়াকে মধ্যমাঠ থেকে হালকা উপরে তুলে আরেকটি চমক দেখালেন তিনি।
২, মদ কাণ্ডে বহিষ্কার হওয়া গুরুত্বপূর্ণ ৩ ফুটবলারসহ ৫ জনকে না পেয়েও আত্মবিশ্বাস হারায়নি প্লেয়াররা৷ জিকোর জায়গায় মিথুল মারমা আর তপুর পরিবর্তে শাকিল জায়গা পেয়ে যা দেখিয়েছেন তাতে মনে হয়েছে কাবরেরা সিদ্ধান্তে ভুল ছিল ন।
৩, প্রবাসী প্লেয়ার তারিক কাজী ও জামাল ভূইয়ার প্রতিভাকে সম্মান জানানো খুবই ইতিবাচক। হাল সময়ে তারিক কাজী ছাড়া ডিফেন্স কল্পনাই করা যায় না। প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের কাছে বড় দেয়াল তারিক কাজী৷
৪, প্রাক-বাছাইকে কেন্দ্র করে সাজ সাজ পরিবেশ ছিল যা আগে লক্ষ্য করা যায়নি। সবচেয়ে বড় উদাহরণ প্রায় দুই যুগ পর জার্সির রঙ পরিবর্তন করা৷ এটি প্লেয়ারদের চাঙা করেছে৷ দেশের ফুটবল প্রিয় দর্শকরাও যেকোনো সময়ের তুলনায় এখন বেশি একটিভ।
৫, আলোচনা ও সমালোচনা বাড়ায় ফেডারেশন ও খেলোয়াড়রা সতর্ক হচ্ছেন৷ ক্লাব ফুটবল থেকে দলে স্থান করে নিতে প্রতিযোগিতা বেড়েছে৷ আর এই প্রতিযোগিতার ফল হিসেবে জাতীয় দল ভালো প্লেয়ার পাচ্ছে৷