বরগুনা সদর উপজেলায় ছেলের নামে দোকান লিখে না দেওয়ায় ও পারিবারিক কলহের জের ধরে শাহাবুদ্দিন হাংকে (৫৮) মারধর করে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে তার ছেলে তানভীর আহমেদ লিমনের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বরগুনা পৌরসভার সিলভারপট্টিতে এ ঘটনা ঘটে।
এলোপাতাড়িভাবে মারধর করলে মারাত্মক আহত হন বাবা শাহাবুদ্দিন। পরে চিৎকার শুনে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।
জানা যায়, শাহাবুদ্দিন হাওলাদার বরগুনা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের চরকলোনি এলাকার মৃত আ. গনি মিয়ার ছেলে। দীর্ঘদিন তিনি কৃষি ব্যাংক বরগুনা শাখায় দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
স্থানীয়রা জানান, তানভীর আহমেদ লিমন তার প্রথম স্ত্রীর ঘরের ছেলে। দ্বিতীয় স্ত্রী ও মেয়েসন্তান নিয়ে শাহাবুদ্দিন সংসার করে আসছিলেন।
প্রথম স্ত্রীর ছেলে লিমনের নামে দোকান লিখে দেওয়ার কথা থাকলেও তা না দেওয়ায় ক্ষোভে বাবাকে মেরেছে বলে তারা জানান।
আশপাশের ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারের ভেতরে লোক সমাগমের মধ্যে ছেলে লিমন তার বাবাকে মারতে মারতে রাস্তায় ফেলে দেয় এবং গালাগাল করে। এ সময় বাবাকে মারতে দেখে এগিয়ে গেলে লিমন পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে শাহাবুদ্দিন বলেন, সকালে বাসা থেকে বের হলে লিমন আমাকে গাড়িচাপা দিতে চায়। ভাগ্যক্রমে আমি বেঁচে যাই। পরে বাজারে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাকে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। তার পর স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে বরগুনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়।
বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অবহিত করে থানায় ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেছি বলেও জানান তিনি। ছেলে তানভীর আহমেদ লিমনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
ঘটনার বিষয়ে বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মেহেদী হাসান জানান, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে আইনিব্যবস্থা নেওয়া হবে।