
শর্তের বেড়াজালে প্রবাসীদের আরব আমিরাত যাত্রা
বাংলাদেশে করোনার প্রকোপ বাড়ায় চলতি বছরের এপ্র্রিলের শুরুতে বাংলাদেশ থেকে সরাসরি যাত্রী নেওয়া বন্ধ করে দেয় সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার। তবে দুবাই, শারজাহ, আবুধাবি হয়ে ইউরোপ ও আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন গন্তব্যে যেতে পারতেন প্রবসীরা। বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ১২ মে থেকে ট্রানজিট যাত্রী নেয়াও বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশি প্রবাসী কর্মী অধ্যুষিত এ দেশটি।
শর্তের বেড়াজালে প্রবাসীদের আরব আমিরাত যাত্রা
গত ৫ আগস্ট থেকে এয়ারলাইসগুলোকে আবার ট্রানজিট যাত্রী পরিবহনের অনুমতি দেয় ইউএই। কিন্তু এখনো সরাসরি বাংলাদেশি যাত্রী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেনি দেশটি। এতে বিপাকে পড়েছেন ছুটিতে দেশে আসা প্রবাসী কর্মীরা। ভ্রমণ বা ভিজিট ভিসায় সেদেশে গিয়ে চাকরি প্রত্যাশীরাও হতাশায় ভুগছেন।
করোনাকালেও গত দেড় বছরে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি ভিজিট ভিসায় দুবাই ও আবুধাবি গেছেন।
যদিও যাত্রার বা ফ্লাইটে উঠার চার ঘণ্টা আগে র্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট করে সংযুক্ত আরব আমিরাত যাচ্ছে ভারতীয় ও পাকিস্তানিরা। কিন্তু বাংলাদেশের কোন বিমানবন্দরেই এন্টিজেন টেস্টের ব্যবস্থা না থাকায় এই সুযোগ নিতে পারছেন না বাংলাদেশিরা।
সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান এয়ারভাইস মাশার্ল মফিদুর রহমান সময় সংবাদকে বলেন, চার কিংবা ছয় ঘণ্টা আগে এন্টিজেন টেস্ট করে ফ্লাইটে উঠা প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রবাসীদের জন্য সম্ভব নয়। আমরা এই বিষয়ে ইউএইর এয়ারলাইন্সগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবো।
তবে সারা দেশে এন্টিজেন টেস্টের জন্য ৭৮টি কেন্দ্র আছে বলে জানান বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রধান কর্মকর্তা ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদ।
২০২০ সালে ২ লাখ ১০ হাজার বাংলাদেশি চাকরি ভিসায় বিভিন্ন দেশে যাওয়ার সুযোগ পান। আর চলতি বছরের ৯ আগস্ট পর্যন্ত গেছেন ২ লাখ ৫২ হাজার ২৬৯ জন। এর মধ্যে কর্মী ভিসায় ইউএইতে গেছেন ৪ হাজার ৬৮৫ জন। যদিও ভিজিট ভিসায় ইউএই গামীদের হিসাব নেই জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর কাছে।