![IMG_20200911_223247](https://banglaexpressonline.com/wp-content/uploads/2020/09/IMG_20200911_223247.jpg)
নারী পাচারকারী চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন নৃত্যশিল্পী ও কোরিওগ্রাফার ইভান শাহরিয়ার সোহাগ। সিআইডির অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক শেখ রেজাউল হায়দার প্রথম আলোকে জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে মানব পাচারের অভিযোগে সোহাগকে গ্রেপ্তার করেছেন সিআইডি (ঢাকা মেট্রো উত্তর বিভাগ) কর্মকর্তারা।
দুবাই পুলিশের তথ্যের ভিত্তিতে গত মাসে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) আজম খানসহ তাঁর নারী পাচারকারী চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তারের কথা জানায়। তাঁদের মধ্যে তিনজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সেই জবানবন্দির ভিত্তিতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে সোহাগকে। পুলিশ জানিয়েছে জবানবন্দিতে আজম খান ও তাঁর সহযোগীরা বলেছেন, এই চক্র মূলত ‘নৃত্যকেন্দ্রিক’। কয়েকজন নৃত্য সংগঠক ও শিল্পী এই নেটওয়ার্কের অংশ। জড়িত আছেন ছোটখাটো ক্লাবের কর্ণধারেরাও। ছোটখাটো ক্লাব বা প্রতিষ্ঠানের যেসব নৃত্যশিল্পী গায়েহলুদসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে নাচ করেন, তাঁরাই ছিলেন এই পাচারকারী চক্রের প্রধান টার্গেট। দেশের বেশ কিছু জেলায় তাঁদের নেটওয়ার্ক বিস্তৃত।
পাচারের শিকার ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথাবার্তার পর সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মৃণাল কান্তি সাহা গত ২ জুলাই লালবাগ থানায় একটি মামলা করেন। এজাহারে পাচারকারী আজমরা তিন ভাই ছাড়াও আল আমিন হোসেন ওরফে ডায়মন্ড, মো. স্বপন হোসেন, নির্মল দাস (এজেন্ট), আলমগীর (দুবাই ক্লাবের সুপারভাইজার), আমান (এজেন্ট) ও শুভকে (এজেন্ট) আসামি করা হয়।
এজাহারের অভিযোগ, আজম খান, তাঁর দুই ভাইসহ মামলার আসামিরা দুবাইয়ের হোটেল ও ড্যান্স বারে মেয়েদের যৌনকর্মে বাধ্য করতেন। এই তিনজনের প্রতিনিধিরা দেশের বিভিন্ন নাচের ক্লাব বা সংগঠন থেকে মেয়েদের সংগ্রহ করে কাজ দেওয়ার নামে তাঁদের দুবাই পাঠাচ্ছিলেন। দুবাই পুলিশের দেওয়া তথ্য ধরে সিআইডি গত জুলাই মাসে আজম খান এবং তাঁর দুই সহযোগী ডায়মন্ড ও আনোয়ার হোসেন ওরফে ময়নাকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার হন আজমের এ-দেশীয় প্রতিনিধি নির্মল সরকার ও মো. ইয়াছিন।
উৎসঃ প্রথম আলো