মোহাম্মদ হানিফ সিকদার (৪৫), একজন বাংলাদেশি প্রবাসী। তিনি দুবাইতে একজন ট্যাক্সি চালক হিসেবে কর্মরত আছেন। সম্প্রতি তিনি এক গুরুতর হার্ট অ্যাটাক থেকে বেঁচে যান।
খালিজ টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোহাম্মদ হানিফ সিকদার গত ১৪ এপ্রিল আনুমানিক মধ্যরাতে হার্ট অ্যাটাক করেন। এরপর দ্রুত তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে অ্যাস্টার হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়।
মোহাম্মদ হানিফ সিকদার বলেন, ‘প্রতিদিনের কাজ শেষে বার দুবাইতে আমি আমার রুমে ঘুমাচ্ছিলাম। এরপর আমার বুকে মৃদু ব্যথা অনুভব করি এবং জেগে উঠি এবং পানি পান করি। আমি জানতাম আমি ভাল নেই। কিন্তু আমি বুঝতেছিলাম না আমার সঙ্গে কি ঘটতে চলেছে।’
তিনি আরও বলেন, এর কিছু সময় পর ব্যথা অনেক বাড়তে থাকে। আমি দ্রুত আমার রুমমেটকে ডাকি। আমাকে ঘামে ভেজা দেখে সে অবাক হয়ে যায়। হানিফ সিকদারকে এরপর একাধিক পরীক্ষা করা হয়। এতে দেখা যায় তার বাম করোনারি ধমনীতে একাধিক ব্লক পাওয়া গেছে।
মানখুলের অ্যাস্টার হাসপাতালের কনসালটেন্ট কার্ডিওলজিস্ট চিকিৎসক নাভিদ আহমেদ জানান, সিকদারের জীবন-হুমকির মুখে ছিল।
নাভিদ আহমেদ বলেন, পরীক্ষার ফলাফলে দেখা গেছে সিকদারের প্রধান ধমনীতে ৫০-৯৮ শতাংশের মধ্যে একাধিক ব্লক। তার অবস্থার জন্য ব্লকেজগুলি পরিষ্কার করার এবং হৃৎপিণ্ডে রক্ত প্রবাহ পুনরুদ্ধার করার জন্য একটি তাত্ক্ষণিক পদ্ধতির প্রয়োজন ছিল।
তিনি জানান, অস্ত্রোপচারের আগে চিকিৎসকরা তাকে অপারেটর ও এর জটিলতার কথা জানান। তবে শেষমেষ তারা সফল হন।
নাভিদ বলেন, হানিফের ঘটনা প্রমাণ করে যে হৃদরোগের বিকাশে বংশগত ঝুঁকির কারণগুলো কতটা গুরুত্বপূর্ণ। হানিফ তার পরিবারের মধ্যে তৃতীয় ব্যক্তি যিনি হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়েছেন। তার বাবা কয়েক বছর আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। মোহাম্মদ হানিফ সিকদার জানান, তিনি এখন ভালো আছেন।
উৎসঃ খালিক টাইমস