তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রকৌশলী অমিনুল ইসলাম মৃধাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় বদলি করা হয়েছে। দুই দফা হামলার পর তাঁকে বদলি করা হয় বলে জানিয়েছেন জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী। আমিনুল ইসলামের ওপর হামলার ঘটনায় কুলাউড়া থানায় দুটি মামলাও রয়েছে।
এলজিইডির মৌলভীবাজার কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আহমেদ আব্দুল্লাহ আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে মুঠোফোনে বলেন, দুই দফা হামলার কারণে প্রকৌশলী আমিনুলের জীবন ঝুঁকিতে পড়ে যায়। এ কারণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ গত ২৯ ডিসেম্বর তাঁকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলায় বদলির আদেশ দেয়। কয়েক দিনের মধ্যেই তিনি নতুন কর্মস্থলে যোগ দেবেন।
পুলিশ ও এলজিইডি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর বিকেলে কার্যালয় থেকে হেঁটে উপজেলা পরিষদ চত্বরের পাশে বাসায় ফেরার সময় প্রকৌশলী আমিনুলের ওপর লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায় একদল যুবক। চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে গেলে হামলাকারীরা দ্রুত সটকে পড়ে। লাঠির আঘাতে আমিনুলের মাথা ফেটে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে তিনি বাসায় ফেরেন। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও সাত-আট জনকে আসামি করে কুলাউড়া থানায় মামলা করেন।
এর আগে ৭ আগস্ট আমিনুলের ওপর হামলা হয়। তখন তাঁর ব্যক্তিগত মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করা হয়। ওই ঘটনায় কয়েকজনের বিরুদ্ধে তিনি কুলাউড়া থানায় মামলা করেছিলেন। এ মামলায় পরবর্তীতে পুলিশ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
হামলার কারণ সম্পর্কে প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম মৃধা সে সময় গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, অনৈতিক সুবিধা না দেওয়ায় স্থানীয় কয়েকজন ঠিকাদার তাঁর ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন। হামলার পেছনে তাঁদের ইন্ধন ও যোগানদাতা আছে বলে তাঁর ধারণা।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কুলাউড়া থানার উপ-পরিদর্শক পরিমল চন্দ্র দাস বলেন, দাপ্তরিক কোনো সমস্যার কারণে এলজিইডির প্রকৌশলীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। এজাহারভুক্ত আসামিদের একজন বিদেশে চলে গেছেন। আর দু’জন পলাতক। তবে তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আইনের আওতায় আনতে জোর চেষ্টা চলছে।