টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিলেন দিল্লি ক্যাপিটালস অধিনায়ক শ্রেয়াস আয়ার। কিন্তু প্রথম বলেই মার্কাস স্টোইনিসের আউট হয়ে ফিরে যাওয়া চাপে ফেলে দিয়েছিল দিল্লিকে। একে একে প্যাভিলিয়নে ফেরেন অজিঙ্ক রাহানে এবং শিখর ধওয়নও। সেখান থেকে দলকে লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছে দিলেন তরুণ অধিনায়ক শ্রেয়াস আয়ার এবং ঋষভ পন্থ।
আইপিএল ফাইনালে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মতো দলের বিরুদ্ধে শ্রেয়সের এই ইনিংস প্রশংসার দাবি রাখে। ৫০ বলে ৬৫ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন তিনি। ভারতের চার নম্বর পজিশনের দাবিদার বুঝিয়ে দিলেন কঠিন পরিস্থিতিতে তাঁর ব্যাট তৈরি। অভিজ্ঞ রাহানে এবং ধওয়নকে হারিয়ে দিল্লি কোচ রিকি পন্টিংও যখন প্রবল চিন্তায়, তখনই ভরসা দিলেন শ্রেয়াস। এ বারের আইপিএলে ১৭ ম্যাচে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ৫০২ রান। প্রতি ম্যাচে শ্রেয়স যে ভাবে ভরসা দিয়েছেন দিল্লিকে, ফাইনালও তার ব্যতিক্রম নয়। চাপের মধ্যে নিজেকে মেলে ধরলেন। আর এই ইনিংসই প্রমাণ করল শ্রেয়সের মধ্যে বড় অধিনায়ক হওয়ার মশলা রয়েছে। দেশকে নেতৃত্ব দেননি। কিন্তু টুর্নামেন্টে দারুণ ক্যাপ্টেন্সি করেছেন। তার উপরে ফাইনালে পরিণত ব্যাটিং।
শ্রেয়সের সঙ্গে ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন ঋষভ পন্থও। ৩৮ বলে গুরুত্বপূর্ণ ৫৬ রান করলেন। এ বারের টুর্নামেন্টে প্রথম পঞ্চাশ করলেন। তাও আবার ফাইনালে। শ্রেয়স পরিণত ব্যাটিং করলেন। কিন্তু পন্থ পারলেন না। অথচ তাঁর সামনে সুযোগ ছিল। পঞ্চাশ করার পরে যদি ফোকাস ঠিক রাখতেন তা হলে দলকে আরও ভাল জায়গায় নিয়ে যেতে পারতেন পন্থ। হরভজন সিংহ বলছিলেন, “ফাইনালের পারফরম্যান্স ঢেকে দেয় গোটা টুর্নামেন্টের ব্যর্থতা। ২০১১ সালে ধোনির ফাইনালে ম্যাচ জেতানোটাই সবাই মনে রেখেছে। গোটা টুর্নামেন্টে কী করেছে, তা কেউ মনে রাখেনি।”
দুরন্ত ইনিংস খেলে ঋষভও সবার মনে জায়গা করে নিতে পারতেন। নেথান কুল্টার নাইলের যে ওভারে তিনি আউট হলেন, সেই ওভারেই দুটো চার মারা হয়ে গিয়েছিল তাঁর। তার পরেও ভুল শট নির্বাচন করে আউট হলেন। ধরা পড়লেন হার্দিক পাণ্ড্যর হাতে। শ্রেয়াস-ঋষভের ৯৬ রানের পার্টনারশিপ ভেঙে গেল। আরও ভয়ঙ্কর হতে পারল না দিল্লি। ১৫৬ রানেই আটকে যেতে হল তাঁদের।