লপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর ২০২২) সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় বক্তব্য রাখেন।
শেখ হাসিনা অভিযোগ করেন, ২০০১ সালের নির্বাচন ছিল গভীর চক্রান্ত। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জনগণের ভোট পেলেও ক্ষমতায় ফিরতে পারেনি।
বিএনপি-জামায়াতের শাসনকালের সমালোচনা করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের শাসনামল ছিল জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও লুটপাটের। বিএনপির সময় দুর্নীতিই নীতি হয়ে যায়।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জেনারেলের পকেট থেকেই বিএনপির জন্ম, মাটি ও মানুষ থেকে এদের জন্ম হয়নি। এরা সবসময় মানুষের ভোটের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলে। ২০০১, ২০০৬ সালে প্রতিবার তারা ভোটের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলে। বিএনপির রাজনৈতিক ধারাবাহিকতা ছিল অগণতান্ত্রিক ও অবৈধ উপায়ে।’
২০০৮ সালের অভিযোগহীন নির্বাচনেও বিএনপি যেখানে ৩১টি আসন পেয়েছে, সেখানে বিএনপি জনগণের ভোটে আবার কীভাবে ক্ষমতায় আসবে দলটির নেতাদের প্রতি প্রশ্ন রাখেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। তিনি বলেন, ‘যে দলের নেতারা বিদেশে টাকা পাচারের জন্য শাস্তি পাওয়া, গ্রেনেড হামলায় শাস্তি পাওয়া, তারাই আবার টাকা পাচার নিয়ে কথা বলে। যে দলের নেতারা গ্রেনেড হামলায় সাজাপ্রাপ্ত, ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালান, মানিলন্ডারিংয়ের সঙ্গে জড়িত, জনগণের ভোটে তারা (বিএনপি) ক্ষমতায় যাবে এ স্বপ্ন তারা কীভাবে দেখে।’
সরকারের নানা উন্নয়নের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যখন আওয়ামী লীগ সরকারে এসেছে তখনই মানুষের জীবনমান উন্নত হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার নিজেকে জনগণের সেবক মনে করে এবং সেটাই করে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যাদের চোখ আছে তারা উন্নয়ন দেখবে, আর বুদ্ধিজীবী প্রতিবন্ধীরা কোনো উন্নয়ন দেখে না। অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে তাদের মূল্য বাড়ে। গণতান্ত্রিক ধারায় দেশ চললে তাদের হতাশা লাগে। নির্বাচিত সরকার হটিয়ে অনির্বাচিত কাউকে ক্ষমতায় আনলে দেশের কোনো ভালো হবে না।’ তাদের জ্ঞান-বুদ্ধিকে দেশের কল্যাণের কাজে লাগানোর আহ্বান জানান সরকারপ্রধান।
জনগণের সমর্থনে নৌকা আবারও ক্ষমতায় আসবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী।