আঙুলের ছাপ ও চেহারা যাতে দেখা না যায় সেই কৌশল অবলম্বন করে ডাকাতির সময় হাতে ও মুখে গ্লাভস পরে নিত ডাকাত চক্রটি। ভারতীয় সিরিয়াল সিআইডি দেখে তারা এই কোৗশল শিখেছিল। গত ১০ বছর ধরে খুলনা ও রংপুর এলাকায় ডাকাতি করার এক পর্যায়ে একাধিক মামলার আসামি হওয়ায় তারা ডাকাতি শুরু করে ঢাকার আশেপাশের জেলায়।
ডাকাতির আগে ও পরে চক্রটির সদস্যরা বিভিন্ন আ্যপস ব্যবহার করে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করত। তারা ঢাকার কেরানীগঞ্জ, নবাবগঞ্জ ও দোহারের প্রবাসীদের বাড়িতে ডাকাতি করত। এ চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- রুবেল ফরাজী ওরফে রিফাত হাওলাদার (২৮), সোহাগ শেখ ওরফে রুবেল ও মো. সোহেল (২৪)।
রাজধানীর খিলগাঁও ও শাহজাহানপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে বুধবার (৩১ মার্চ) রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির সময় ব্যবহৃত হাফ প্যান্ট, গেঞ্জি, গ্রীল ভাঙার যন্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) দুপুরে সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন।
তিনি বলেন, ‘ডাকাত চক্রটি গত কয়েক বছর ধরে ঢাকার আশপাশের জেলাগুলোতে প্রবাসীদের বাসা-বাড়িতে অভিনব কৌশলে ডাকাতি করে আসছিল। এই চক্রের সদস্যরা একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য মোবাইল সিমের পরিবর্তে বিভিন্ন আ্যপস ব্যবহার করত। এছাড়া তারা বাসা-বাড়ির গ্রীল ও জানালা কেটে মুখে মাস্ক ও হাতে গ্লাভস পরে ঘরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ভয়ভীতি দেখিয়ে ডাকাতি করত। ডাকাতির কোনো ছাপ যাতে না থাকে মূলত সেজন্যই তারা ভারতীয় সিরিয়াল সিআইডি দেখে মাস্ক ও গ্লাভস ব্যবহার করত।’