নিরাপত্তা তল্লাশিতে বাধা দেওয়ায় রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক চিকিৎসক পরিবারকে প্লেনে চড়তে দেয়নি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
শনিবার বিকালে বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে এ ঘটনা ঘটে। ওই চিকিৎসক পরিবারের ঢাকা থেকে যশোরে যাওয়ার কথা ছিল।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক ক্যাপ্টেন তৌহিদ উল-আহসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বিমানবন্দর সূত্র জানায়, অফলোড হওয়া ডা. সালেহিন নিজেকে মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসক বলে দাবি করেন। বিকেলে নভোএয়ারের একটি ফ্লাইটে ডা. সালেহিনসহ তার পরিবারের ৪ জন যাওয়ার কথা ছিল।
তার সঙ্গে ছিলেন ডা. আফসান, ইসরাত জাহান, ইয়ারমিন আরা নামে পরিবারের অন্য তিন সদস্য।
সূত্র জানায়, তারা প্রথমে নভোএয়ারের একটি ফ্লাইটের টিকেট কাটেন। তবে বিমানবন্দরে পৌঁছাতে দেরি করায় নভোএয়ারের ফ্লাইট ধরতে পারেননি। পরবর্তীতে বিমানবন্দরে এসে তারা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের টিকিট কাটেন। বিমানবন্দরে প্রবেশে মুখে প্রথম তল্লাশির সময় তারা এভিয়েশন সিকিউরিটির (এভসেক) কর্মীদের সঙ্গে তল্লাশি নিয়ে হইচই করেন ও বিরক্তি দেখান।
পরবর্তীতে বোডিং কার্ড নিয়ে উড়োজাহাজে ওঠার আগে এন্টি হাইজেকিং পয়েন্টে (বোর্ডিং গেটের আগে) তারা জুতা, বেল্ট খুলতে অস্বীকৃতি জানান। এভসেক কর্মীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে যান। এ সময় নিরাপত্তাকর্মীদের ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি দেন বলেও অভিযোগ করেন নিরাপত্তাকর্মীরা। সম্প্রতি চিকিৎসক হেনস্তার কারণে ম্যাজিস্ট্রেট বদলি হয়েছে বলেও চিৎকার করতে থাকেন।
পরে বিমানবন্দরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তাদের শান্ত করে। তবে নিরাপত্তা তল্লাশিতে বাঁধা দেওয়া এবং তাদের ফ্লাইটের জন্য নিরাপদ মনে না হওয়ায় তাদের বিমানে উঠতে দেওয়া হয়নি। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক ক্যাপ্টেন তৌহিদ উল-আহসান বলেন, সকলের জন্য নিরাপত্তা তল্লাশি বাধ্যতামূলক। কিন্তু তারা গেটে সেটি মানতে চাননি, বরং নিরাপত্তা কর্মীদের গালাগালি করেছেন। যা আইনগতভাবে অপরাধ। তাই তাদের অফলোড করা হয়েছে। বিমানবন্দর সূত্র জানায়, ঘটনার পর তারা দুঃখ প্রকাশ করলে মুচলেকা নিয়ে ওই চিকিৎসক পরিবারকে ছেড়ে দেওয়া হয়।