দেশে গত সপ্তাহে (২৭ আগস্ট- ২ সেপ্টেম্বর) সরকারি হাসপাতালে যতো রোগী মারা গেছে, তাদের ৮৩ শতাংশের মৃত্যু ঘটেছে ভর্তির তিন দিনের মধ্যে। বাংলাদেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’র (হু) সর্বশেষ পর্যবেক্ষণে এ তথ্য উঠে এসেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, হাসপাতালে ভর্তির তিন দিনের মধ্যে ডেঙ্গু রোগী বেশি মারা যাচ্ছে। এর অর্থ হলো যারা মারা যাচ্ছেন, দেরি করে হাসপাতালে আসছেন তারা। যখন রোগীরা হাসপাতালে আসছেন, তখন চিকিৎসকদের তেমন কিছু করার থাকছে না।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠানো হু’র একটি পর্যবেক্ষণ রিপোর্ট অনুসারে, গত ২৭ আগস্ট থেকে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ৮১ জন। তাদের মধ্যে ৪৭ জন বা ৫৮% ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে ভর্তির এক দিনের মধ্যে। হাসপাতালে ভর্তির ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে মারা গেছেন ২০ জন বা ২৫% রোগী।
তারা আরও জানিয়েছে, ৪-৫ দিন হাসপাতালে থাকার পর মৃত্যু হয়েছে ৪% রোগীর। ৬-১০ দিনের মধ্যে প্রাণহানি ঘটেছে ১২% রোগীর। ১০ দিন বা তার বেশি সময় ধরে যারা হাসপাতালে ভর্তি থেকেছেন, তাদের মৃত্যুর হার একেবারে কম; ১%। পুরুষ আক্রান্ত হয়েছে ৬০% এবং নারী আক্রান্ত হয়েছে ৪০%। এই এক সপ্তাহে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে ১৫ হাজার ৫১০ জন। এর মধ্যে পুরুষের মৃত্যুর হার ০.৩১% এবং নারীর মৃত্যুর হার ০.৮৪%।
এ সময়ে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর একটি প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘শক সিনড্রোম’। প্রায় ৬২% মৃত্যু হয়েছে শক সিনড্রোমের কারণে, ২২% হয়েছে ডেঙ্গু সিনড্রোমের ব্যাপ্তির কারণে, ১০% ডেঙ্গু রক্তক্ষরণজনিত জ্বরের কারণে এবং ৬% মৃত রোগীর দেহে আগে থেকেই অন্যান্য দীর্ঘস্থায়ী রোগ ছিল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা পৌঁছেছে ১ লাখ ৩৩ হাজার ১৩৪ জনে।