মোঃ রাসেল ইসলাম,যশোর জেলা প্রতিনিধি: জনগণের জানমালের ক্ষতির হুমকি থেকে জীর্ণ ও মৃত প্রায় গাছ অপসারণ করার দাবীতে যশোর-বেনাপোল মহা সড়কে নাগরীক অধিকার আন্দলোনের আয়োজনে ও সেচ্ছ সেবী সংগঠন সেবার ব্যবস্থাপনায় এক বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টার সময় যশোর-বেনাপোল মহা সড়কের নাভারণ কলোনী নামক স্থানে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, যশোর জেলা নাগরীক অধিকারের সন্ময়ক শেখ মাসুদুজ্জামন মিঠু, নির্বাহী সদস্য আহছানুল্লাহ ময়না, জেলা পরিষদের সদস্য শাহানা আক্তার, নাভারণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাজান আলী, নাগরীক অধিকারের ঝিকরগাছার আহবায়ক ও সেবা সংগঠনের সভাপতি মাষ্টার আশরাফুজ্জামান বাবু, দপ্তর সম্পাদক সাংবাদিক আফজাল হোসেন চাঁদ, পরিবেশ রক্ষাকারী আন্দোলনের সদস্য দেশ সেরা উদ্ভাবক মিজানুর রহমান সহ এলাকার বিভিন্ন গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ইতিপূর্বে আমাদের কঠোর আন্দলোনের প্রেক্ষিতে ২০১৭ সালে গাছগুলি অপসারণ করে মহাসড়কটি চার লেনে সম্প্রসারণ করার প্রকল্প পাস হয়। কিন্তু কতিপয় পরিবেশবাদী বাস্তব অবস্থা বিবেচনায় না এনে নড়বড়ে মৃতপ্রায় গাছগুলি রক্ষার জন্য হাইকোর্টে একটি রীট আবেদন করেন। ফলশ্রুতিতে হাইকোর্ট রী আবেদনের পক্ষে ছয়মাসের জন্য গাছ কাটার উপর স্থগিতাদেশ জারী করেন।
কিন্তু সরকার ও সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের উদাসীনতার কারণে স্থগিতাদেশের কার্যকারীতা সয়ংক্রিয় ভাবে অব্যাহত রাখেন। তাই ইজকের এই মানববন্ধনে আমাদের দাবী অবিলম্বে সরকার ও সংশ্লিষ্টি কতৃপক্ষ দেশের স্বার্থে আইনগতভাবে হাইকোর্টের রীটের আদেশ অবমুক্ত করে গাছগুলো অপসারণের ব্যবস্থা নেওয়া হোক। একই সাথে চলমান উন্নয়ন কাজ অভ্যাহত সড়কগুলির মান সঠিক ভাবে করার জোর দাবী জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য: ঘুর্ণিঝড় আম্পানের কারণে এই মহাসড়কের দুই ধারের ১৩টি শতবর্ষী রেইন্ট্রি গাছ উপড়ে পড়ে সড়কের আশে পাশের অসংখ্য বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম এই মহাসড়কটি প্রস্তাবিত এশিয়ান হাইওয়ে দেশের প্রধান স্থলবন্দর বেনাপোল ও সাতক্ষীরা জেলায় যাতায়াতের একমাত্র পথ। প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে অন্তত ১৫শ থেকে ১৬শ যানবাহন চলাচল করে।