রাজধানীর সরকারি বাঙলা কলেজের সামনে থেকে সৈয়দ মনির হোসাইন ওরফে মশিউর ওরফে মইনুল ইসলাম (৩৪) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৪)। র্যাবের দাবি, মইনুল একজন ‘ক্রমিক ধর্ষক’। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাবের দাবি, মইনুল ইসলাম মুঠোফোনসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্কুল-কলেজপড়ুয়া কিশোরী ও তরুণীদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করত। এরপর তাদের কাছ থেকে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও সংগ্রহ করত। পরে নানা উপায়ে হুমকি দিত এবং ফুঁসলিয়ে ওই কিশোরী ও তরুণীদের ধর্ষণ করত।
আজ রোববার বিকেলে র্যাব-৪-এর অপারেশন অফিসার (এএসপি) জিয়াউর রহমান চৌধুরী এনটিভি অনলাইনকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তার হওয়া মইনুল ইসলামের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে জিয়াউর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘ক্রমিক ধর্ষক মইনুল ইসলাম বিগত আট মাস ধরে এক তরুণীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ওই তরুণী আমাদের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। পরে গতকাল রাত সাড়ে ১২টার দিকে মইনুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
জিয়াউর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘শুধু অভিযোগকারী ওই তরুণী নয়, আমাদের কাছে গোপনে গোপনে আরো সাতজন নারী ধর্ষক মইনুল ইসলামের বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগ জানিয়েছে। তাঁরা কেউ নাম প্রকাশ করতে চায়নি। তারা সবাই স্কুল ও কলেজপড়ুয়া। সেজন্য আমরা মইনুলকে খুঁজছিলাম। তাকে গ্রেপ্তারের পর আমরা তার সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলেছি। প্রাথমিকভাবে সে এসব স্বীকার করেছে।’
অপারেশন অফিসার বলেন, ‘মুঠোফোন, ইমো, হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিশোরী ও তরুণীদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ বা প্রেমের সম্পর্ক করে ফুসলিয়ে আপত্তিকর ছবি সংগ্রহ করা ছিল মইনুল ইসলামের নিয়মিত কাজ। সেটাকে কাজে লাগিয়ে পরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করত। পাশাপাশি টাকা না দিলে সে সব আপত্তিকর ছবি, অডিও, ভিডিও স্যোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ারও হুমকি দেয়।’
মইনুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি বরগুনা জেলায়। তার বিরুদ্ধে দারুস সালাম থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে বলে জিয়াউর রহমান চৌধুরী জানিয়েছেন।