![InShot_20230501_185314409](https://banglaexpressonline.com/wp-content/uploads/2023/05/InShot_20230501_185314409.jpg)
তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় বিজিবির সঙ্গে চোরাকারবারিদের গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বিজিবি’র ২ সদস্য আহত হয়েছেন। শনিবার রাতে উপজেলার আলীনগর সীমান্তের লোটাবিল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
আহতরা হলেন, আলীনগর বিজিবি ক্যাম্পের হাবিলদার মো. হাসিবুল ইসলাম ও সিপাহি মো. সাখাওয়াত হোসেন। তবে এ ঘটনায় বিজিবি কাউকে আটক করতে পারেনি।
বিজিবি’র পক্ষ থেকে রোববার রাত ৮টার দিকে তিনজনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত ২৫-৩০ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে বলে জানান কুলাউড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রতন দেবনাথ।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, শনিবার রাত ১০টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবির সদস্যরা জানতে পারেন রাতে একদল চোরাকারবারি সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান করবে। ওই সংবাদের ভিত্তিতে আলীনগর সীমান্তের লোটাবিল এলাকায় বিজিবি আগে থেকেই অবস্থান নেয়। রাত ১০টার দিকে একটি পিকআপ গাড়িতে করে ভারতীয় নাসির বিড়ি লোড করতে দেখেন বিজিবি’র সদস্যরা। এ সময় তারা চোরাচালান প্রতিরোধের চেষ্টা করলে চোরাকারবারিরা টহল দলের উপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। আত্মরক্ষার্থে বিজিবি’র সদস্যরাও ৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করলে চোরাকারবারিরা পালিয়ে যায়। পরে চোরাচালানে ব্যবহৃত একটি পিকআপভ্যান গাড়ি ও ২টি মোবাইল ফোনসহ ভারতীয় নাসির বিড়ি উদ্ধার করে জব্দ করা হয়।
জানা যায়, আলীনগর সীমান্ত এলাকায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে চোরাকারবারিরা। সীমান্তের এই এলাকা চোরাকারবারিদের অনেকেই নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহার করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। বিভিন্ন সময়ে বিজিবির অভিযানে বেশ কয়েকটি বড় চালান আটক করা হয়।
এলাকাবাসীর দাবি, চোরাচালানের সঙ্গে দুই দেশের অনেক বড় মাস্টারমাইন্ডরা জড়িত রয়েছে। তাদের সহযোগিতা করে সীমান্তের কিছু মানুষ। যার ফলে চোরাচালান নিয়মিত এ রুট দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে চলে যায়।
এ বিষয়ে আলীনগর বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি। বিজিবি-৪৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মিজানুর রহমান শিকদারকেও একাধিকবার ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. নুসরাত জাহান জানান, সন্ধ্যায় বিজিবি’র ২ সদস্য হাসপাতালে এলে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছাড় পত্র দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কুলাউড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রতন দেবনাথ জানান, আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।