লাদাখ সীমান্তে চীন ও ভারতের মধ্যে গোলাগুলিতে তিন ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছে। সোমবার (১৫ জুন) রাতে এ সংঘর্ষ হয়। ভারতীয় সেনাবাহিনীকে উদ্ধৃত করে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, পরিস্থিতি শান্ত করতে চীন ও ভারতের জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তারা শিগগিরই বৈঠকে বসছেন। তাদের দাবি, এ গোলাগুলির ঘটনায় দুই পক্ষেরই প্রাণহানি হয়েছে। গত কয়েক দশকের মধ্যে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এটাই প্রথম প্রাণহানির ঘটনা। তবে সোমবার রাতে চীনা সেনাবাহিনীর কতজন প্রাণ হারিয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আরেক ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, একতরফা ব্যবস্থা না নিতে এবং পরিস্থিতি আরও জটিল না করতে দিল্লির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বেইজিং।
গত মাসের শুরুর দিক থেকে প্যানগং (পূর্ব লাদাখ) এবং নাকু লা (সিকিমের) এলাকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ভারত ও চীনের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ার খবর আসতে থাকে। সে থেকেই দুই পক্ষের সেনাবাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা চলছে। তখন থেকেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) বরাবর প্রচুর সেনা ও সামরিক সরঞ্জাম মোতায়েন করা হয়। এর মধ্যেই সোমবার মধ্যরাতে গালওয়ান উপত্যকায় দ্দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়। এতে ভারতীয় বাহিনীর এক কর্মকর্তা ও দুই জওয়ান নিহত হয়। ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফে দেওয়া বিবৃতিতে দাবি করা হয়, “গালওয়ান উপত্যকায় সেনা সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলাকালীন দু-পক্ষই সংঘর্ষে লিপ্ত হয় এবং হতাহতের ঘটনা ঘটে।” বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “এই অশান্ত পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে দুই দেশের উচ্চপদস্থ সেনা আধিকারিকেরা বৈঠকে বসছেন।” পরবর্তীতে এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানানোর কথা বলা হয়।
চীনা কর্তৃপক্ষকে উদ্ধৃত করে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ভারতীয় সেনারা সীমান্ত অতিক্রম করে গিয়ে চীনা সেনাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।