বাংলা এক্সপ্রেস ডেস্কঃ ২০২০ সালের প্রথম চার মাসে (জানুয়ারি-এপ্রিল) আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে ও ক্রসফায়ারে ১০১ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে একই সময়ে ৮৫ জন সাংবাদিক নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হয়েছেন। এ তথ্য প্রকাশ করেছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।
শুক্রবার (৮ মে) সন্ধ্যায় আসকের জ্যেষ্ঠ সমন্বয়ক অ্যাডভোকেসি এবং নেটওয়ার্কিং আবু আহমেদ ফয়জুল কবির স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চার মাসে গ্রেফতারের আগে ক্রসফায়ারে ৬১ জন, গ্রেফতারের পরে ক্রসফায়ারে ২১ জন, গ্রেফতারের আগে শারীরিক নির্যাতনে তিন জন, গ্রেফতারের পর শারীরিক নির্যাতনে ১০ জন, গ্রেফতারের আগে বন্দুকযুদ্ধে দুই জন, কারা হেফাজতে অসুস্থ হয়ে একজন এবং কারা হেফাজতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। গ্রেফতারের পর শরীরের গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুজনকে পাওয়া গেছে। এছাড়া এই চার মাসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক দুইজনকে গুম করার অভিযোগ উঠেছে।
এই সময়ে ৮৫ জন সাংবাদিক বিভিন্নভাবে নির্যাতন, হয়রানি, হুমকি ও পেশাগত কাজ করতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হয়েছেন বলেও জানানো হয়।
ওই সময়ে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ১০৫ জন। ৩৩৩ জন ধর্ষণ ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে শুধু ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ২৫৪ জন, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৭৪ জন। এছাড়া পাঁচ জনের ধর্ষণের ধরন উল্লেখ করা হয়নি। একই সময়ে সারাদেশে সহিংসতার শিকার হয়েছেন ১২৭ জন নারী। অ্যাসিড সন্ত্রাসের শিকার হয়েছেন চার জন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত চার মাসে সারাদেশে নাগরিকদের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে অপহরণ ও রহস্যজনক নিখোঁজ, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন, সীমান্তে নির্যাতন ও হত্যার মতো অনেক ঘটনা ঘটেছে। তবে মার্চ মাসে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে নাগরিকদের স্বাস্থ্যসেবা লাভের অধিকার লঙ্ঘন, চিকিৎসায় অবহেলা, স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের অপর্যাপ্ত সুরক্ষা, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর খাদ্যের অধিকার নিশ্চিতকরণে পর্যাপ্ত উদ্যোগের অভাব, ত্রাণ বিতরণে দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা, বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ব্যবহার লক্ষ করা গেছে।