কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের সব কটি নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে ধরলা নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি কমছে ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার ও তিস্তায়। কুড়িগ্রাম সদর, রাজারহাট, ফুলবাড়ী ও উলিপুরসহ ৯টি উপজেলার শতাধিক চরের নিচু এলাকা এখনো প্লাবিত রয়েছে। এসব এলকার মানুষজন বাঁধ, রাস্তা ও উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। প্রায় ৫ হাজার হেক্টর আমন ক্ষেত পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। ভেসে গেছে বেশ কিছু পুকুরের মাছ। পানি কমার সাথে সাথে বেড়েছে ভাঙন। বন্যায় গ্রামিণ পথগুলো ভেঙে যাওয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্য ও চলাচলে সমস্যা হচ্ছে।
এদিকে নদ-নদীর ভাঙনে সদর উপজেলার সারডোব, মোঘলবাসা, পাঁচগাছি, যাত্রাপুর-উলিপুরের থেতরাই, গুণাইগাছসহ বিভিন্ন এলাকায় বিলীন হচ্ছে বাড়িঘর ও আবাদী জমি। কয়েকটি এলাকায় ঝুঁকিতে পড়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও বাজার। ধরলার ভাঙনে সদর উপজেলার নন্দদুলালের ভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি বিলীন হওয়ায় টিনশেড স্কুলঘরটি শুক্রবার থেকেই সরিয়ে নেয়া শুরু করে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আরিফুল ইসলাম জানান, বন্যা পরিস্থিতির ধীরে ধীরৈ উন্নতি হচ্ছে। তবে পানি কমার কারণে ভাঙন বেড়েছে।