কানাডায় এক মুসলিম পরিবারের চার সদস্যকে গাড়িচাপা দিয়ে হত্যা করেছে। নিহতদের মধ্যে নারী-শিশুও রয়েছে। স্থানীয় সময় রবিবার দেশটির অন্টারিও প্রদেশের লন্ডন শহরে এ হামলা চালানো হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ইসলামবিদ্বেষ থেকেই পূর্বপরিকল্পিতভাবে পরিবারটির সদস্যদের ওপর এ হামলা চালানো হয়েছে।
২০১৭ সালে কুইবেক শহরের মসজিদে ছয় জনকে হত্যার পর দেশটির মুসলিমদের ওপর এটাই সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা। রবিবারের ঘটনায় নিহত চার জনের মধ্যে তিন জনই নারী। তাদের বয়স যথাক্রমে ৭৪, ৪৪ ও ১৫ বছর। নিহত অপর ব্যক্তির বয়স ৪৬ বছর বয়সী। পরিবারের সদস্যদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের কারও নাম প্রকাশ করা হয়নি।
হামলাকারী হিসেবে ২০ বছরের এক কানাডিয়ান তরুণকে শনাক্ত করা হয়েছে। নাথানিয়াল ভেল্টম্যান নামের ওই তরুণ অন্টারিও-র লন্ডন শহরের বাসিন্দা। বর্বরোচিত ওই হামলার পর ঘটনাস্থল থেকে ছয় কিলোমিটার দূরের একটি মার্কেট থেকে তাকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। তবে সে কোনও ‘হেট গ্রুপের’ সদস্য কিনা সেটি এখনও পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, সে পরিবারটির সবাইকে খুন করতে চেয়েছিল। তবে সৌভাগ্যক্রমে একমাত্র সদস্য হিসেবে ৯ বছরের একটি শিশু বেঁচে গেছে। শিশুটিকে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত তরুণের বিরুদ্ধে চার জনকে খুন এবং এক জনকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে।
সামগ্রিক বিষয় নিয়ে সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেছেন গোয়েন্দা পুলিশের সুপারিনটেনডেন্ট পল ওয়েট। তিনি বলেন, ‘মুসলিম হওয়ার কারণে এসব মানুষের ওপর হামলা করা হয়েছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। তবে পুলিশ সম্ভাব্য সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগও খতিয়ে দেখছে।’
টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে এ ঘটনায় গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তিনি বলেন, ‘অন্টারিও-র ঘটনায় আমি মর্মাহত। ঘৃণ্য এ ঘটনায় যারা প্রিয়জনদের হারিয়েছেন, আমরা আপনাদের পাশে রয়েছি। হাসপাতালে থাকা শিশুটিরও পাশে আছি আমরা।’ অন্টারিওতে ঘৃণা ও ইসলাম বিদ্বেষের কোনও স্থান নেই বলে মন্তব্য করেছেন অন্টারিও প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ডগ ফোর্ড।