
কাজ শেষ করে রাতের বেলা মহাসড়ক ধরে হেঁটে বাসায় ফিরছিলেন এক নারী গার্মেন্ট কর্মী (১৯)। বাসার কাছাকাছি পৌঁছেও গিয়েছিলেন। ঠিক সেসময় মহাসড়কের ধারে ওঁৎ পেতে থাকা তিন বখাটে আকস্মিক পেছন থেকে এসে তার মুখ চেপে ধরে। এরপর পাশবিক সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন তিনি। সোমবার (৬ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন কুমিল্লার চান্দিনা ও দেবীদ্বার উপজেলার সীমান্তবর্তী একটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে মঙ্গলবার (৭ জুলাই) রাতে দেবীদ্বার থানায় মামলা দায়ের করলে আজ বুধবার ৩ বখাটে যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেবীদ্বার থানার অফিসার ওসি জহিরুল আনোয়ার। ধর্ষণের অভিযোগে আটকরা হলো ভোলার লালমোহন উপজেলার বাসিন্দা মোহাম্মদ আলীর ছেলে খোকন (২৯), কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার ভৈষেরকুট গ্রামের ফরিদুর রহমানের ছেলে আব্দুল মান্নান (২৮)। তারা উভয়ই চান্দিনার বেলাশহর গ্রামে ভাড়ায় বসবাস করেন। অপরজন হলো চান্দিনা উপজেলার বেলাশহর গ্রামের কালু মিয়ার ছেলে ফরিদ (২৬)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চান্দিনা উপজেলার বেলাশহর এলাকার একটি পোশাক কারখানায় কর্মরত ওই তরুণী কাজের সুবিধার্থে নিজের গ্রাম থেকে এসে ওই এলাকার একটি গ্রামে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। মঙ্গলবার রাত ৯ টায় কাজ শেষে ফেরার সময় মহাসড়ক ধরে আসার সময় ওই পাশবিক ঘটনার শিকার হন তিনি। তিন যুবক একটি ঝোঁপে নিয়ে তাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর তার মোবাইল ফোনটিও ছিনতাই করে পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে চান্দিনা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে রাতেই তিন ধর্ষককে আটক করেন।
চান্দিনা থানার অফিসার ওসি মো. আবুল ফয়সল জানান, ঘটনাস্থলটি চান্দিনা বাজারের সন্নিকটে হলেও তা দেবীদ্বার থানায় পড়েছে। তারপরও ঘটনাটি মোবাইল ফোনে শোনার সঙ্গে সঙ্গে আমি ও আমার থানার উপ-পরিদর্শক নোমানকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালিয়ে তিন ধর্ষককে আটক করি এবং মোবাইল ফোনটিও উদ্ধার করি। ভোরে দেবীদ্বার থানা পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করি।
এ ব্যাপারে দেবীদ্বার থানার অফিসার ওসি জহিরুল আনোয়ার জানান, এ ঘটনায় ভিকটিম নিজেই বাদী হয়ে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষকরা ধর্ষণের কথা স্বীকার করে।